নেশন্স লিগের সমীকরণের পাঠ চুকিয়ে আজ্জুরি খেলবে আই-গ্রুপে। যেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নরওয়ের বিপক্ষে হেরেছে ইতালি। বাকি তিন দল এস্তোনিয়া, মলদোভা আর ইজরাইল।
ইতালির বাজে সময়টা শুরু হয়েছে ২০০৬ বিশ্বকাপের পর থেকেই। ২০১০ আর ২০১৪ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়তে হয়েছিল তাদের। এরপরের দুই বিশ্বকাপ, ২০১৮ আর ২০২২র আসরে তো খেলাই হয়নি চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালির।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর ট্রফি জেতানো কোচকে বরখাস্ত করলো টটেনহ্যাম
আরও এক বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটাও ভালো হলো না তাদের। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে বড় ধাক্কা খেলো ইতালি। নরওয়ের মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছে তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩টি গোল হজম করে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন শরলথ। এরপর ৩৪ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন আলেক্সান্ডার নুসা। দলের তৃতীয় গোলটি আসে ম্যাচের ৪২ মিনিটে। ওডেগার্ডের পাস থেকে জাল খুঁজে নেন আর্লিং হল্যান্ড।
এই হারের পর ‘আই’ গ্রুপে ইতালির অবস্থান চতুর্থ। তবে নেশন্স লিগে অংশ নেওয়ার কারণে তারা এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ কম খেলেছে। ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইসরাইল। তৃতীয় স্থানে থাকা এস্তোনিয়ার পয়েন্ট ৩।
আরও পড়ুন: প্রথমবার ক্রিস্টিয়ানোর মুখোমুখি হওয়ার আগে তাকে নিয়ে যা বললেন ইয়ামাল
ম্যাচ শেষে ইতালির কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি বলেন, ‘আমি এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছি, এই স্কোয়াড আমিই বেছে নিয়েছি, তাই আমি তাদের সঙ্গেই থাকবো। আমাদের কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে, কারণ আমরা বলের দখল হারিয়ে প্রতিপক্ষকে সুবিধা করে দিচ্ছি।’
দলের অধিনায়ক গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার কাছেও নেই হারের কোনো ব্যাখ্যা। ‘আমাদের সমর্থকরা এমন পারফরম্যান্স দেখার যোগ্য নন। আমাদের আত্মসমালোচনা করতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ ইতালির পরবর্তী ম্যাচ সোমবার (৯ জুন) মলদোভার বিপক্ষে।
]]>