নবীজির বিস্ময়কর মুজেজা

২ সপ্তাহ আগে
মুজেজা শব্দের অর্থ নবীদের দ্বারা সংঘটিত অলৌকিক ঘটনা। আল্লাহ পাকের প্রেরিত সকল নবীরই কম বেশী মুজেজা রয়েছে। কিন্তু আমাদের নবী সরওয়ারে কায়েনাত সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেজাসমূহ অন্যান্য নবীগণের মুজেজা থেকে অধিক পূর্ণ ও অধিক উজ্জ্বল। অন্যান্য আম্বিয়া কেরামকে সম্মিলিতভাবে যত মুজেজা দেওয়া হয়েছিল, আমাদের প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একা তার চেয়ে বেশি মুজেজা দেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য নবীগণের মুজেজা ছিল শুধু জমিনে, কিন্তু আমাদের প্রিয় নবীর মুজেজা ছিল জমিনে, আসমানে এবং বেহেশতে। অন্যান্য নবীগণের মুজেজা ছিল নির্দিষ্ট কিন্তু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেজা নির্দিষ্ট ছিলোনা, তিনি যা ইচ্ছা করতেন আল্লাহ পাক তাই বাস্তবায়ন করে দিতেন। মূলতঃ তিনি নিজেই ছিলেন একটি বিশেষ বিস্ময়।


কোরআনুল কারিম নবীজিকে দেয়া এক বিস্ময়কর গ্রন্থ

 

হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহর পক্ষ থেকে যতগুলো মুজেজা দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মুজেজা হলো আল কোরআন। কাফেররা যখন নবীজির নিকট মুজেজা চেয়েছে তখন আল্লাহ তাআলা উত্তরে বলেন,

 

اَوَ لَمۡ یَكۡفِهِمۡ اَنَّاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡكَ الۡكِتٰبَ یُتۡلٰی عَلَیۡهِمۡ তাদের কি এই নিদর্শন যথেষ্ট নয় যে, আমি মুহাম্মাদের ওপর এই কিতাব অবতীর্ণ করেছি যা তিনি তাদেরকে পড়ে শোনান। (সুরা আনকাবুত-৫১)।


 

আরও পড়ুন: যে সুরা পড়লেই কোরআনের এক তৃতীয়াংশের সওয়াব

 

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নবীদেরকে আল্লাহতায়ালা যেসব মুজেজা দান করেছেন সেগুলো দেখে মানুষরা তাদের ওপর ঈমান এনেছে। কিন্তু আল্লাহপাক আমাকে এমন এক মুজেজা দান করেছেন সেটা হলো কোরআন, যার দ্বারা আমি আশা করি কিয়ামতের দিন আমার অনুসারী সবচেয়ে বেশি হবে। এই কোরআনের ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, এর মতো করে একটি সুরাও কেউ রচনা করতে পারবে না।

 

নবীজির হাদিসগুলোও পৃথিবীর জন্য এক বিস্ময়

 

কোরআনের পর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বড় মুজেজা হলো হাদিস। কেননা যেই ব্যক্তি উম্মি তথা যিনি কখনো পড়েননি, লেখেননি বা দুনিয়ার কারো থেকে একটা শব্দও শেখেননি, এমন ব্যক্তির জবান মুবারক দিয়ে গঠনমূলক কথা ও বাণী কীভাবে নিঃসৃত হতে পারে? 
 

ইমান-আকিদা, লেনদেন, আচার-ব্যবহার, উত্তম চরিত্র গঠন, সামাজিক জীবন, পারিবারিক জীবন, আল্লাহর হক, মানুষের হক, দুনিয়া ও আখিরাত ইত্যাদি বিষয়ে এমন সব দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যেগুলো সারা দুনিয়ার মানুষের ইহকাল ও পরকালের সফলতার মূল সনদে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। কিয়ামত পর্যন্ত কোনো মানুষ যদি প্রিয় নবী সম্পর্কে জানতে চায়, তাহলে হাদিস থেকে খুব সুন্দরভাবে জানতে পারবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন