নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে মারধরে দশম শ্রেণির ৭ ছাত্রকে টিসি

১ দিন আগে
কুমিল্লায় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে দশম শ্রেণির সাত ছাত্রকে টিসি (ছাড়পত্র) দেয়া হয়েছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ওই আদেশ দেয়া হয়।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টিফিনের সময় বাড়িতে ফেরার পথে আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল আহমেদকে দশম শ্রেণির সাত ছাত্র আটকায়। এরপর আজম খান মাঠে ফেলে এলোপাতাড়ি লাথি কিল ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।


আরও পড়ুন: সিট বাণিজ্য ও শিক্ষার্থীকে মারধর, আইএইচটির ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বহিষ্কার ৬


পরে ফয়সালকে উদ্ধার করে তার সহপাঠীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিলে অবস্থা গুরুতর দেখে ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে একদিন চিকিৎসার পর অবস্থা অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।


এ ঘটনার পর রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে আহত ফয়সালের মা ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর উভয়পক্ষকে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। উভয়পক্ষের কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টি সভাপতি অভিযুক্ত সাত শিক্ষার্থীকে টিসির নির্দেশ দেন।


আরও পড়ুন: দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে সেতুর টোলপ্লাজায় ভাঙচুর-আগুন


শিদলাই আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল হক ভূঁইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দশম শ্রেণির সাত শিক্ষার্থী নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে এলোপাতাড়ি মেরে আহত করে। আমি আহত শিক্ষার্থীকে দ্রুত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। পরে আহত ছাত্রের মা বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।


এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টির সভাপতি স ম আজহারুল ইসলাম জানান, আহত শিক্ষার্থীর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে আসে। উভয় পক্ষের কথা শোনার পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুশোচনাও ছিলো না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে যেতো।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন