এর আগে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুড়ি হাতে নানা বয়সী মানুষ আসতে থাকেন মাঠে। নির্ধারিত সময় চারটায় আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো শুরু করেন তারা। নানা আকার, রং ও ঢংয়ের ঘুড়িতে রঙিন হয়ে ওঠে আকাশ। প্রকৃতির বাতাসে ঘুড়িগুলো উড়ে দিগন্ত ছাড়িয়ে গেলেও, নিয়ন্ত্রণ ছিল নাটাইয়ে।
শিশু-কিশোরের পাশাপাশি মেয়েরাও অংশগ্রহণ করে এই ঘুড়ি উৎসবে। এই উৎসবে শতাধিক ঘুড়ি আকাশে ওড়ান ঘুড়ি প্রেমিরা।
ব্যতিক্রমধর্মী এমন আয়োজন সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি কিশোর ও যুবকদের মোবাইল এবং মাদকাসক্ত কমাবে বলে ধারণা সবার। দীর্ঘদিন পরে এমন উৎসবে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বাস মাতে সবাই।
আরও পড়ুন: শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ছড়িয়ে দেয় নববর্ষের বার্তা
ঘুড়ি উৎসবে অংশগ্রহণকারী গোয়ালমাঠ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হোহা আফরিন বলেন, অনেক ছোট থাকতে বাড়ির পাশের মাঠে ঘুড়ি উড়িয়েছে কয়েকবার। আজকে আবার সেই ছোটবেলায় ফিরে গেছিলাম আমরা। অনেকক্ষণ ঘুড়ি উড়িয়েছি, এই আয়োজনে আমরা খুবই খুশি।’
আরেক শিক্ষার্থী মারজানা খানম বলেন, ‘সবাই মিলে ঘুড়ি উড়িয়েছি। শুধু এই ঘুড়ি উৎসবের কারণে এবারের নববর্ষ আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
শিক্ষক খালিদ হোসেন বলেন, বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ কিশোর, যুবক-যুবতী মোবাইল ও মাদকে আসক্ত। অনেক ক্ষেত্রে শিশুরাও মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ থেকে বের হতে হলে ঘুড়ি, ক্রিকেট, হাডুডু, ফুটবলসহ গ্রামীণ খেলাধুলায় ফিরে যেতে হবে আমাদের। আজকের এই যে ঘুড়ি উৎসব, এটা আমাদের সন্তানদের মাদক ও মোবাইল থেকে কিছুটা হলেও দূরে রাখবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নববর্ষের শোভাযাত্রা, ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, মানুষের আসলে প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন। আর এই ধরণের আয়োজন মানুষকে প্রকৃতির কাছে যেতে সহযোগিতা করে।
এবারের এই আয়োজন নতুন যাত্রা শুরু হল, ভবিষ্যতে স্থানীয়রা নিজেরাই এমন আয়োজন করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
]]>