নববধূর সঙ্গে মনোমালিন্যে গলায় ফাঁস দিলেন মামুন

১ সপ্তাহে আগে
পিরোজপুর সদরে নববধূর সঙ্গে মনোমালিন্যে মামুন মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে সদরের যুব উন্নয়ন অধিদফতরের স্টাফ কোয়ার্টার (ডরমিটরি) নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 


তবে নিহতের পরিবারের দাবি, নববিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে মামুন আত্মহত্যা করেছেন।


নিহত মামুন মঠবাড়িয়া তুষখালীর জমাদ্দার বাড়ি এলাকার মো. মাহবুব হাওলাদারের ছেলে। তিনি পিরোজপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ইলেকট্রিক ট্রেডের আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন।


আরও পড়ুন: ১৮ দিনের সংসারে স্বামীর নির্যাতনে নববধূর মৃত্যু!


পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মামুন এ বছরের জানুয়ারি মাসে মোংলার এক তরুণীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই নববধূর সঙ্গে মামুনের বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে সবসময় তিনি বিষণ্নতায় ভুগতেন।


ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেলেও ঈদের দিন (৩১ মার্চ) রাতেই তিনি তার কর্মস্থলে ফিরে আসেন। আজ সকালে ডরমিটরির অন্য কক্ষের বাসিন্দারা তাকে ডাকতে গেলে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। পরে তার কক্ষের দরজার ফাঁক থেকে ফ্যানের সঙ্গে মামুনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।


আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে নববধূর গলাকাটা মরদেহ, স্বামীসহ আটক ৩


নিহত মামুনের বোন মারুফা বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আমার সঙ্গে কথা হয়। বারবার বলছিল ‘বউয়ের জন্য আমার জীবনটাই শেষ আমি মনে হয় আর বাঁচবো না’। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিল আমার ভাই।’


এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সোবাহান বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের সময় মামুন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন।’

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন