মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর আড়াই টার দিকে নদীর ওলির ঘাট এলাকায় তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস ও রংপুর ডুবুরি দলের সদস্যরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
তিন বন্ধু মিলে সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হয় ইসমাইল। ঘটনার পর থেকে ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস ও রংপুরের একটি ডুবুরি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাতে থাকে। সন্ধ্যার আগপর্যন্ত ডুবুরি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালালেও ইসমাইলকে পায়নি। এরপর সন্ধ্যা হওয়ায় আলো স্বপ্লতার কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়।
ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার জিয়াউর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ইসমাইলের ভেসে উঠা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার পূর্ব দিকে নদীর ওলির ঘাট এলাকায় ইসমাইলের মরদেহ ভেসে ওঠে। এদিকে নদীতে নিখোঁজ ইসমাইল এর লাশ উদ্ধার জন্য ডুবুরি দলকে সাথে নিয়ে আজ সকাল আটটা থেকে আবারও উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় নদী থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, পৌরশহরের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন গতকাল দুপুরে নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। আজ দুপুরে তার লাশ ভেসে উঠে। কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার ইসমাইল হোসেন তাঁর দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে করতোয়া নদীতে গোসল করতে যান। এ সময় তিনজন নদীতে নেমে নদীর দক্ষিণ পাড় থেকে সাঁতরে উত্তর পাড়ে যান। পরে তারা আবারও উত্তর পাড় থেকে দক্ষিণ পাড়ে আসার জন্য একসঙ্গে সাঁতার দেন। কিছুক্ষণ পর দুই বন্ধু সাঁতার কেটে পাড়ে পৌঁছালেও তাঁরা নদীতে ইসমাইল হোসেনকে দেখতে পাননি। এর পর থেকে নদীতে ইসমাইল হোসেনকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।