বগুড়া বিসিকে দক্ষ শ্রমিকরা তৈরি করছেন টিউবওয়েল, লাইনার আর পিস্টনের মতো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর। ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখানকার ২৩০টি প্লটের সবগুলোই ব্যস্ত এমন নানা কর্মকাণ্ডে।
বিসিকে কোনো প্লট না থাকায় শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গড়ে উঠেছে অন্তত দুই হাজার ক্ষুদ্র-মাঝারি কলকারখানা। উপজেলা পর্যায়ে আবাদি জমিতেও গড়ে তোলা হচ্ছে কলকারখানা। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পরিবেশ দূষণ।
আরও পড়ুন: ৩৭ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি মাদারীপুর বিসিকে
পরিবেশের সুরক্ষা আর বাণিজ্য সম্ভাবনা বিবেচনায় ২০১৪ সালে শহরের শাকপালায় ১৫০ একর জমিতে শুরু হয় বগুড়া বিসিক দ্বিতীয় শিল্প পার্ক স্থাপনের কাজ। কিন্তু মৌজা রেট বেশি ও নিচু জমি হওয়ায় তা বাতিল করে বিসিক।
এরপর ২০১৮ সালে শিল্প পার্কের প্রস্তাব করা হয় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের দক্ষিণে শাজাহানপুর এলাকায়। ২৯৪ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গড়ে উঠবে অন্তত এক হাজার শিল্প কারখানা। এমন দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, উদ্যোক্তাদের পুনর্বাসন করা হলে নতুনভাবে গড়ে উঠবে শিল্পকারখানা। কমবে পরিবেশ দূষণ। বাড়বে রাজস্বও।
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাইরুল ইসলাম বলেন, নতুন শিল্প পার্কটি আধুনিক হবে। এখানে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এটি করা গেলে বগুড়ার শিল্পবিপ্লব ঘটবে।
আরও পড়ুন: নানা সমস্যায় ধুঁকছে দিনাজপুর বিসিক শিল্পনগরী, আগ্রহ হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বিতীয় শিল্প পার্ক হবে পরিবেশবান্ধব। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ সব প্রক্রিয়া। রয়েছে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়।
বগুড়া বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম মাহফুজুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় শিল্প পার্কে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ সব প্রক্রিয়া। দ্রুতই অনুমোদনের জন্য এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে যাবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বগুড়া বিসিক থেকে সরকার গড়ে প্রতিবছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে।
]]>