বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আয়োজিত ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনুস আমাদের যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, সে স্বপ্ন আমরা নিজেরা দেখবো। যেখানে চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস থাকবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
আরও পড়ুন: যারা ভারতে মসজিদ ভেঙেছে তারা সাম্প্রদায়িকতা শেখাচ্ছে: মাসউদ
মাসউদ বলেন, ‘যে অপরাধী তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে হবে সে অপরাধী। আমি যদি কোনো ভুল করি, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে হবে আপনি ভুল করেছেন। এইটা না বলতে পারলে আমি নিজেই ফ্যাসিস্ট হয়ে যাবো। কারণ হচ্ছে আমরা আমাদের নেতাদের পীরের আসনে বসিয়ে দিয়েছি। আমরা এখান থেকে বলবো নেতাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন, যাতে তারা ভবিষ্যতে ভুল করার সাহস না পায়।’
সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সমালোচনা করে মাসউদ বলেন, ‘মোহাম্মদ আলীর আমলে কাউকে বিএনপির কর্মসূচিতে যেতে দেয়া হতো না। সে সময় কেউ ফেসবুকে পোস্ট দিলে বাধার সৃষ্টি করা হতো। বিএনপির প্রোগ্রামে যেতে চাইলে হাঁটু ভেঙে দেয়ার কথা বলা হতো। আমি শুনেছি, এখনো নাকি বলা হয়। তাহলে তো আপনারাও মোহাম্মদ আলীর উত্তরসূরি।’
আরও পড়ুন: তরুণরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ: মাসউদ
তিনি বলেন, ‘কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে গেলে, চাঁদাবাজি করতে গেলে, ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে গেলে স্লোগানে স্লোগানে তার হৃদয় প্রকম্পিত করতে হবে। আমি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে দল, মত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে রাজনীতি করবে। যে বাংলাদেশে বিএনপি থাকবে, জামায়াতে ইসলামি থাকবে, ডান দল থাকবে, বাম দলও থাকবে।’
ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন: আব্দুল হান্নান মাসউদের বাবা আবদুল মালেক, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ রিটনের বাবা আবুল কালাম, বুড়িরচর আহাম্মদিয়া আলিম মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক রাজ বিহারী, হাতিয়া উপজেলা মার্কেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।