নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ গার্সিয়া, চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরে শোনালেন আশার বাণী

২ সপ্তাহ আগে
বার্সেলোনার সঙ্গে শুক্রবার (২০ জুন) চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন হুয়ান গার্সিয়া। চুক্তি শেষে তার দৃপ্ত কণ্ঠে প্রতিশ্রুতির সুর; শুরুতেই বললেন, এখানে তিনি জিততেই এসেছেন। এমন কথা অবশ্য তার কণ্ঠেই মানায়; কেননা, গত মৌসুমে যিনি কি না ঠেকিয়েছেন ১৪৬টি গোল!

লিগের অ্যাডভান্স পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মৌসুমে ১৪৬টি গোল ঠেকিয়েছেন তিনি। যা লা লিগার ২০২৪-২৫ মৌসুমে সর্বোচ্চ। যদিও গার্সিয়ার দল লিগ শেষ করেছে ১৪ নম্বরে থেকে। 

 

এস্পানিয়ল গোলকিপারের এই পারফরম্যান্স দেখে তার ওপর নজর রেখেছিল আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডডের মতো ক্লাবগুলো। কিন্তু গার্সিয়াকে দলে ভিড়িয়েছে বার্সেলোনা।

 

বার্সেলোনার প্লেয়ার হিসেবে শুক্রবার চুক্তিতে সই করেন গার্সিয়া। দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে ৬ বছরের জন্য, অর্থাৎ ২০৩১ সালের জুন নাগাদ চুক্তির মেয়াদ। ২৪ বছর বয়সি স্প্যানিশ ফুটবলারের জন্য বার্সার খরচ হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন ইউরো। 

 

আরও পড়ুন: অনুশীলনে প্লেয়ারদের গতিবিধি নজরে রাখতে ড্রোনের ব্যবহার শুরু আলোনসোর

 

বার্সেলোনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেশ উচ্ছ্বসিত ২৪ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। ‘আমি খুব খুশি, আমি অনেক দিন ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে এটি এসে গেছে। আমার লক্ষ্য হলো একজন গোলকিপার হিসেবে উন্নতি করা এবং যতটা সম্ভব জেতা। আমি এখানে দলের সাথে দুর্দান্ত কিছু অর্জন করতে এসেছি।’ 

 

তাকে নিয়ে বার্সেলোনার মূল দলের গোলরক্ষক হলো চার জন। আগে থেকে আছেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন, ভয়চেখ স্ট্যান্সনি ও ইনিয়াকি পেনিয়া। 

 

৩৩ বছর বয়সী টের স্টেগেন এক দশক ধরে বার্সেলোনার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক, কিন্তু চোটের কারণে গত মৌসুমের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকার পর শেষ দুটি ম্যাচের জন্য তিনি ফিরেছিলেন। 

 

আরও পড়ুন: মৌসুমজুড়ে সর্বোচ্চ সেভ দেয়া গোলরক্ষককে কিনল বার্সেলোনা

 

অবশ্য, ২৬ বছর বয়সী পেনিয়া নিয়মিত খেলার আশায় এই গ্রীষ্মে বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই ভবিষ্যত ভাবনাতেই প্রতিশ্রুতিশীল গার্সিয়াকে দলে টানল বার্সেলোনা। তিনি নিজেও নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ হয়ে আছেন।  

 

‘এটি দারুণ একটি দল এবং তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে এই প্রকল্পটা খুবই রোমাঞ্চকর; এই তরুণ খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমি আগে থেকেই জানি। এখানে সবার সঙ্গে কাজ শুরু করতে উন্মুখ হয়ে আছি।’ 

 

গোলপোস্টে তিনি খুব সাহসী, তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। ‘নিজেকে আমি সাহসী গোলরক্ষক মনে করি, আমার রিফ্লেক্সও দারুণ ক্ষিপ্র এবং শূন্যে আমি ভালো কাজ করতে পারি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন