সম্প্রতি কোচের জন্য একটি বিজ্ঞাপন দিয়েয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে আগ্রহী প্রার্থীদের লেভেল-৩ কোচিং সার্টিফিকেশন এবং ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে মাইক হেসন অনেকটা এগিয়ে। কোচিং পেশায় তার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। এর আগে নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটারের শাস্তি
তার আগে ২০১১ সালে তিনি কেনিয়া ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। নিরাপত্তজনিত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। ২০০৩ সালে আর্জেন্টিনা ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন হেসন। তাছাড়া আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
২০২৩ সালের নভেম্বরে পিএসলের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন হেসন। নিজের অভিষেক মৌসুমেই ইসলামাবাদকে শিরোপা জেতান হেসন।
পাকিস্তানের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর, পিসিবির পক্ষ থেকে হেসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের আলোচনা এখনও চলমান। গত বছরও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পিসিবি। কিন্তু তখন পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিতে রাজি হননি হেসন। এবার নতুন করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পিসিবি।
আরও পড়ুন: আম্পায়ার্স কমিটির মিটিংয়ে অসদাচরণের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেবব্রত পাল ও রাহুলের
পাকিস্তানের কোচ হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক স্পিনার সাকলায়েন মুশতাকও। তবে পিসিবি চায় বিদেশি কোচ নিয়োগ দিতে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, কোচ হিসেবে হেসনকেই চূড়ান্ত করেছে পিসিবি।
গত বছর অক্টোবরে সাদা বলের সংস্করণে পাকিস্তানের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান গ্যারি কারস্টেন। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর পাকিস্তানের সব সংস্করণেরই প্রধান কোচ হয়েছিলেন গিলেস্পি। তাকে অবশ্য লাল বলের সংস্করণে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো।
গত ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন গিলেস্পি। এরপর অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ পান আকিব জাভেদ। তার চুক্তি ছিলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে সাদা বলের সংস্করণে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর খবর, চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে নন তিনি।
]]>