বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে পারইল ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর বাড়ি থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের ৩৪ বস্তা এবং ১৯ কেজির আরও একটি বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা চাল বর্তমানে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জব্দকৃত চাল বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইটের। চালের বস্তাগুলোর পাশে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খালি বস্তা পড়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে, চালগুলো বেশি দামে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাতের আঁধারে ওই বাড়িতে ওজন করে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভালো ফলনের পরও ধানের দাম নিয়ে কেন শঙ্কায় কৃষক?
বাড়ির মালিক আশরাফ আলী বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে জানতে পারি ডিলার সুইট আমার বাড়িতে চাল রেখেছে। তাকে চাল সরিয়ে নিতে বললে সে পরে নিয়ে যাবে বলে জানায়।’
তবে ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইট অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘চালগুলো আমার না। বাড়ির মালিক আমার নামে মিথ্যা বলছে।’
রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান বলেন, ‘চালগুলো সরকারি কি না তা নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল হাসান জানান, ‘ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ জড়িত থাকলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>