মহেন্দ্রো সিং ধোনি, ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল ক্রিকেটার ও অধিনায়ক। তার চমৎকার নেতৃত্বগুণ বরাবরই প্রশংসা পেয়েছে সব মহলে। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ওপর এবার বড় দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধোনিকে ভারত দলের মেন্টর হিসেবে চায় বোর্ড। বিশ্বকাপের মঞ্চে ধোনি দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ হতে পারে বলে মনে করছে বোর্ড।
এমন প্রস্তাবের পরই চারদিকে ডালপালা মেলেছে নানা গুঞ্জন, তবে কি গম্ভীরের ওপর থেকে আস্থা কমে গেছে বোর্ডের। এ বছরই তার অধীনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। তবুও কেনো ধোনিকে চাচ্ছে বোর্ড? সে বিষয়ে খোলাসা করেছে বিসিসিআই। মূলত, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিরা না থাকায় কোনো সমস্যা হলে কোচকে বলতে না পারলেও যাতে তারা ধোনিকে মাথার ওপর ছায়ার মতো পায়। তার কাছ থেকে সমাধান নিতে পারে। মানসিকভাবে চাঙ্গা হতে পারে। এসব কিছু বিবেচনা করেই এ পথে হাটতে চায় বিসিসিআই।
আরও পড়ুন: ধোনির ১০০ কোটি রুপি মানহানি মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ
মেন্টর হওয়ার অভিজ্ঞতা ভারতীয় দলে এবারই প্রথম নয় ধোনির। এর আগে ২০২১ বিশ্বকাপেও টিম ইন্ডিয়ার মেন্টর ছিলেন তিনি। সে সময় দলের নেতৃত্ব ছিলো বিরাট কোহলির কাঁধে। কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী। তবে, অভিজ্ঞতা সুখকর ছিলো না সেবার ধোনির। নক আউটেও উঠতে পারেনি ভারত। উল্টো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে সমালোচনায় জর্জরিত হতে হয়েছিলো পুরো দল ও কোচিং স্টাফকে। বিশ্বকাপের পরই সে দায়িত্ব ছেড়ে দেন ধোনি।
এবারের প্রস্তাব ধোনি নেবেন কি না তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কারণ, কোচ গম্ভীর তার সমসাময়িক ক্রিকেটার। ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৭ ও ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে ধোনিকে সাহায্য করেছেন গম্ভীর। তবে, দুজনের সম্পর্ক কখোনোই খুব ভালো ছিলোনা।
ধোনির খারাপ সময়ে সমালোচনায় মুখর ছিলেন গম্ভীর। তাই তার সঙ্গে মেন্টর হিসেবে কাজ করতে রাজি না হওয়ারই কথা গম্ভীরের। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছিলো ভারত। এবারও টিম ইন্ডিয়ার কাছে এমন সাফল্য চায় বোর্ড। তাই দলের জন্য সম্ভাব্য সব কিছুই করতে প্রস্তত বোর্ড।