ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে লিখিত আবেদন (পিটিশন) করে শহীদ মেজর মোহিত শর্মার পরিবার।
পরিবারের দাবি, ২০০০ সালে পাকিস্তানে মেজর মোহিতের জীবন ও তার গুপ্তচর অভিযানের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। এ সিনেমায় রণবীর সিংয়ের লুকও শহীদ মেজর মোহিত শর্মার সাথে মিল রয়েছে। তাদের বক্তব্য,
একজন শহীদের জীবন কখনওই বাণিজ্যিক পণ্য হয়ে উঠতে পারে না। আর্থিক লাভের জন্য অনুমতি ও সম্মান ছাড়া তার জীবনকে নতুন করে তুলে ধরা যায় না।
পারিবারিক অনুমতি ছাড়া মোহিত শর্মার জীবন নিয়ে সিনেমা করা আইনসম্মত নয়। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলে জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে পরিবারটি।
পরিবারের এমন দাবিতে ও পিটিশনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, সিনেমাটি ভারতীয় সেনাবাহিনী পর্যালোচনা করবে। সেনাবাহিনীর সবুজ সংকেত পেলেই সিনেমাটির সেন্সর ছাড়পত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সিনেমাটি এখনও সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি।
আরও পড়ুন: ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা মুক্তি বন্ধে হাইকোর্টে পিটিশন
এদিকে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার পরিচালক আদিত্য ধর দাবি করেছেন, সিনেমাটি নির্ভীক মেজর মোহিত শর্মার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত নয়। এমন সাহসী সৈনিকের ত্যাগ নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করলে অবশ্যই পরিবারের অনুমতি নিয়েই তা নির্মাণ করবেন বলে জানান আদিত্য।
আরও পড়ুন: দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলেছে ‘তেরে ইশক ম্যায়’
প্রসঙ্গত, ‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় এমন মানুষের গল্প তুলে ধরা হয়েছে যাদের কেউ চেনে না, ইতিহাসের পাতায় যাদের কাহিনি উল্লেখ নেই। আড়ালে থাকা সেসব নায়কদের নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
]]>
৬ ঘন্টা আগে
১





Bengali (BD) ·
English (US) ·