শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত আতাউর রহমান ও নয়ন হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ওই তরুণীর অভিযোগ, চেতনানাশক খাইয়ে প্রথমবার ধর্ষণের পর সেই ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ শুক্রবার (১১ জুলাই) আবার তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় রাতেই তিন জনের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় একটি মামলা করেন তিনি।
ওই মামলার আসামিরা হলেন-আতাউর রহমান, নয়ন হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম। তাদের মধ্যে শুধু সালমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ
মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, সালমা বেগম তার পরিচিত। দুই মাস আগে গল্প করার জন্য তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন সালমা। এ সময় তাকে ঝালমুড়ি খেতে দেন সালমা। ঝালমুড়ি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। আতাউর রহমান নামের এক মাদক ব্যবসায়ী তখন তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় তিনি গোপনে নিজের মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ঘটনাটি বাইরে জানালে ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেয়া এবং তরুণীর বাবাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এই হুমকি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। ভয়ে তিনি ঘটনাটি কাউকে জানাতে পারেননি।
ওই তরুণী আরও বলেন, ব্ল্যাকমেইল করে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। এ কাজে সালমা বেগম ও তার স্বামী নয়ন হোসেনও জড়িত। আমি সবার বিচার চাই।
]]>