মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এমন দাবি জানানো হয়েছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি এবং বিচারবিভাগের সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
পরবর্তীতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বিচার বিভাগের অর্থবহ স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। প্রধান বিচারপতি এরই মধ্যে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন, যা বর্তমানে সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালে বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিচারের বিধান রয়েছে: আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগ পৃথককরণ-সম্পর্কিত ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলায় সরকারের প্রতি যে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, তার ৮ম দফায় সংসদ ও নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এটি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আইন ও বিধিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনয়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন আরও জানিয়েছে, ওই রায়ের সপ্তম দফায় বিচারকদের নিয়ন্ত্রণে সুপ্রিম কোর্টের প্রাধান্য নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। মাসদার হোসেন মামলার উল্লিখিত ৭ম ও ৮ম দফার নির্দেশনা মোতাবেক বিচার বিভাগের ওপর সুপ্রীম কোর্টের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করতে হলে কিংবা আইন ও নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে মুক্ত করে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
]]>