৩১ দফা বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম স্টেডিয়ামে উপজেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের অর্থনীতি রাজনীতি সব ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। ভোট ছাড়া আওয়ামী লীগ দেশের ক্ষমতা দখল করেছিল দীর্ঘ বছর। সবশেষ ডামি নির্বাচন করে নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। সেই পরিস্থিতির অবসান হয়েছে।’
‘বিএনপির ৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে আওয়ামী লীগ। কুমিল্লার দুজন জনপ্রিয় নেতাকে গুমের মধ্য দিয়ে তাদের গুম শুরু হয়েছিল। হাসিনার ভাগাভাগির নির্বাচন মেনে নেননি খালেদা জিয়া। তাই তাকেও জেল খাটিয়েছে,’ যোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।
সবাই সহায়তা না করলে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করতে পারবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারকে সহযোগিতা করছে। বিএনপি দীর্ঘ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। কিন্তু তাদের অনেকের ভাবখানা এমন বিএনপি কিছুই করেনি। বিএনপি চায় এই সরকার সফল হোক।’
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলন জাতীয়তাবাদ ও ঐক্যের অনুভূতি জাগ্রত করে: তারেক রহমান
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার সংস্কার করছে কিছু লোক কিন্তু এসব সাধারণ মানুষ বোঝে না। দুই বেলা পেটপুরে খেতে পারাটাই সবচেয়ে বড় সংস্কার। দয়া করে দেশের মানুষকে শান্তি দিন। এনার্কি কখনো দেশের জন্য ভালো কিছু দিতে পারে না।’
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার আসবে। সেজন্য বিএনপি বলছে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিন। অনেকে সমালোচনা করে কিন্তু এটা ছাড়া উপায় কী। দেশে ভোট হলে দেশ স্থিতিশীল হবে। অন্যান্য দলেরও এই কথা বলা উচিত।’
দেশকে কোনো ঝুঁকির মধ্যে ফেলা উচিত হবে না বলে জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘অনেক বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। যার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ছে। আজকে যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা বাংলাদেশের স্বার্থে কাজে লাগানো দরকার।’
নির্বাচন এলেই হানাহানি আর যেন না হয় সেদিকে নেতাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘পাশের দেশে বসে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা। ভারত যদি মনে করে শেখ হাসিনাই তাদের বন্ধু তাহলে তারা বাংলাদেশকে আর পাশে পাবে না।’
]]>