রোববার (১ জুন) বিকেলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় এই ঘাট ব্যবহার করে নদী পারাপার হয়েছে ১ হাজার ৬৩৮টি যানবাহন। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ২২১টি, পণ্যবাহী ট্রাক ৬৫৯টি, ছোট গাড়ি ৭১৮টি ও ১২০টি মোটরসাইকেল।
মেহেরপুর থেকে ট্রাকে আসা গরুর ব্যাপারী মো. হাসমত শেখ বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে ঘাটে কোন দুর্ভোগ নেই। এ বছরও কোনো সিরিয়ালে আটকে থাকতে হয়নি, সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পেরেছি।
আরেক গরু ব্যাপারী নুরু শিকদার বলেন, বিগত ২ থেকে ৩ বছর ধরে ঘাটে দুর্ভোগ নেই। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে দৌলতদিয়া ঘাটে দুর্ভোগে পড়তে হতো। ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে তীব্র গরমে অনেক গরু গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়তো। সময়মতো গরু হাটে নিতে না পারায় লোকসান হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ কমে গেছে। কোনো ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই যশোর থেকে সরাসরি দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরির নাগাল পেয়েছি। আশা করছি সঠিক সময়ে ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো এবং ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারব।
পশুবাহী ট্রাকের চালক হামিদুল হক বলেন, মেহেরপুর থেকে ২৫টি গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই ঘাটে এসে ফেরিতে উঠেছি। ফলে গরু ও আমাদের কষ্ট কম হয়েছে এবং দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে পারব।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকে ট্রাকে আসছে গরু, হাট প্রায় ক্রেতাশূন্য
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া বর্তমানে বৈরী আবহাওয়ায় নদীতে বাতাস বইছে, যে কারণে ফেরিগুলোর নদী পারাপার হতে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগছে। বর্তমানে এই নৌরুটে ছোট-বড় ১২টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান বলেন, এ বছর ঈদে লম্বা ছুটি থাকছে। যদিও পদ্মা সেতু হওয়াতে দৌলতদিয়া ঘাটে চাপ কমে গেছে। তারপরও আমরা ঘাট দিয়ে নির্বিঘ্নে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের লক্ষ্যে কাজ করছি। ঘাটে আসা কোরবানির পশুবাহী গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করা হচ্ছে।