২০২০ সালের শুরুতে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ রূপ দেখেছিল বিশ্ব। পাঁচ বছরের ব্যবধানে আবারও নতুন করে এর বিস্তার ঘটছে। ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি ভাইরাসটির নতুন নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে সংক্রমণের শঙ্কায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
চলতি বছর দেশে এখন পর্যন্ত ২২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একজনের। এমন পরিস্থিতিতে স্থল, নৌ এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এছাড়া, বিনা প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ ত্যাগ ও মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করতে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) থেকে শনাক্তকরণ কীট বিতরণ শুরু হয়েছে। জেলা পর্যায়ে বিতরণের পর বর্তমানে মাত্র ১৪ লাখ টিকা মজুত রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. হালিমুর রশীদ।
আরও পড়ুন: নতুন করে করোনায় আক্রান্ত বাড়ল
তিনি বলেন,
ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলো এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোকে আর্টিফিশিয়্যাল কিট দিচ্ছি। ১৭ লাখ ২০ হাজার টিকা সিভিল সার্জনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে গিয়ে যে কেউ টিকা নিতে পারবেন।
আক্রান্তদের চিকিৎসায় ৫০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু করা হয়েছে জানিয়ে ড. মো. হালিমুর রশীদ বলেন, দেশের সব হাসপাতালে করোনা কর্নার চালুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে এখন থেকেই জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দেন তারা।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন উপধরন: সুরক্ষিত থাকতে কী করবেন
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘করোনা পরীক্ষা করার জন্য অন্তত প্রতিটি জেলায় যেন একটা বা দুটি জায়গায় থাকে। পরীক্ষার জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে। তবে এ বিষয়ে আতঙ্ক বাড়ানো যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত যেন না হয়।’
]]>