দেশে ফিরেছেন কুয়েতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আনাস ও গিফারী

২ ঘন্টা আগে
কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জন্য গৌরবময় অর্জন এনে দেয়া দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস মাহফুজ এবং ক্বারী আবু জর গিফারী দেশে ফিরে এসেছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় তারা ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।


হাফেজ আনাস মাহফুজ ছোটদের গ্রুপ (৮-১২ বছর) থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে দেশের নাম বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করেছেন। তার সঙ্গে কেরাত গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ক্বারী আবু জর গিফারীও নিজের কৃতিত্বের মাধ্যমে দেশের কেরাত চর্চাকে বিশ্বমঞ্চে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

 

লাইভ দেখুন: দেশে ফিরেছেন কুয়েতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আনাস ও গিফারী


বিশ্বজয়ী আনাসের সঙ্গে দেশে ফেরেন তার সম্মানিত উস্তাদ শায়েখ আবদুল্লাহ আল মামুন। বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মারকাযুল ফয়জিল কুরআনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম, দেশের বিশিষ্ট আলেমগণ, ছাত্র ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ফুলেল শুভেচ্ছা ও দোয়ায় মুখরিত ছিল বিমানবন্দর প্রাঙ্গণ।

 

আরও পড়ুন: ইসলামি বইমেলা হেরার জ্যোতির পথ দেখায়: ধর্ম উপদেষ্টা


রাজধানীর মারকাযুল ফয়জিল কুরআন আল ইসলামীর শিক্ষার্থী হাফেজ আনাস মাহফুজ তার বয়সের তুলনায় অসাধারণ মেধা এবং দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। গোপালগঞ্জের এই কৃতি সন্তান ২০২৩ সালে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় (পিএইচপি কোরআনের আলোয়) তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম স্থান অর্জন করে তিনি তার মেধার আরও এক উজ্জ্বল প্রমাণ দিলেন।


কেরাত গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী আবু জর গিফারীর অসাধারণ পারফরম্যান্স কেরাত জগতে বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে। তার কণ্ঠে কুরআনের সুর বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পরিচিতি নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে।


মারকাযুল ফয়জিল কুরআনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম বলেন, ‘এ অর্জন শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানের নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের গর্ব। আল্লাহ যেন আনাস ও গিফারীকে যোগ্য আলেম এবং দ্বীনের খাদেম হিসেবে কবুল করেন। তাদের এই সাফল্য কোরআনের প্রতি আমাদের দেশের ভালোবাসার প্রতিফলন। আমরা সবার কাছে তাদের জন্য দোয়া চাই।’

 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ সাফল্য দেশের জন্য এক অনন্য প্রেরণা। আল্লাহর অশেষ রহমতে বাংলাদেশ ভবিষ্যতেও কোরআন চর্চায় বিশ্বমঞ্চে আরও অনেক সাফল্যের সাক্ষী হবে বলে আশা করেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন