যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পালিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহা। বাংলাদেশের সঙ্গে একই দিনে ঈদ হওয়ায় আনন্দের মাত্রা বেড়েছে বহু গুন।
এছাড়া স্থানীয় সময় শনিবার (৭ জুন) সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন হওয়ায় প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে পরিবার নিয়ে ঈদের জামাতে হাজির হন হাজারো মুসল্লি। বিপুল সংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরাও জামাতে ঈদের নামাজে অংশ নেন।
একইদিনে ঈদুল আজহা পালন করা হয়েছে মালয়েশিয়াতেও। রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় মসজিদগুলোতে যেমন বাংলাদেশিরা নামাজ আদায় করেছেন, তেমনি অনেক বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কানাডায় ঈদের সকাল শুরু হয় একাত্মতায়। দেশটির বড় বড় শহরের মসজিদগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশঅপাশি ভিড় করেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানরা।
বরাবরের মতই জার্মানিতে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী বার্লিনের পুরনো বিমানবন্দর টেম্পেলহফার মাঠে। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসীদের জন্য করা হয় বিশেষ দোয়া। খোলা জায়গায় পশু কোরবানির অনুমোদন না থাকায় ঈদ জামাতের পরপরই প্রবাসীরা ছুটে যান কোরবানীর জন্য রাখা নির্দিষ্ট স্থানে।
স্পেনের মাদ্রিদে বসবাসরত মুসলিমদের পাশাপাশি বার্সেলোনা ও অন্যান্য শহরে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় ঈদের সালাত আদায় করেন মুসল্লিরা। অনেকের কর্মস্থলে ছুটি না থাকায়, নামাজ শেষ হওয়া মাত্রই জীবন জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ছুটে যেতে হয়।
একই চিত্র ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে। রাজধানী রোম, মিলান, ভেনিসসহ প্রধান প্রধান শহরগুলোতে মসজিদ এবং খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আয়ারল্যান্ডেও বাংলাদেশি কমিউনিটির মুসল্লিরা ঈদের নামায আদায়ের পর একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আয়োজন করা হয় বিভিন্ন মিষ্টি খাবারের।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ৪২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদের জামাতে শরিক হন। জামাত শেষে পশু কোরবানি দেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রতি বছরের মতো এবারও কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। অনেক স্থানে বাংলা ভাষায় খুতবার আয়োজন করা হয়। কুয়েতে সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় মসজিদ আল কেবির বা গ্রান্ড মসজিদে।
ইসরাইলি বাহিনীর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শুক্রবার ভোরেই জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ঢল নামে মুসল্লিদের। পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদ প্রাঙ্গন। জামাতে নামাজ আদায় করেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব হলেও গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের কারণে কারো মুখেই ছিল না আনন্দের হাসি। ঈদের নামাজ শেষে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যার ফিলিস্তিনিদের জন্য করা হয় বিশেষ দোয়া।
]]>