বৃহস্পতিবার (২৯ মে) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, যেই গণতন্ত্র এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে। তবে খুবই শিগগিরই বাংলাদেশে আমরা গণগন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে পাবো, এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।
নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে যে রাজনীতি শহীদ জিয়া রেখে গেছেন তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে।
এ জন্য সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করতে বিএনপির সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ সরকার: তারেক রহমান
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের ২৯ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দুই দিনের সফরে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। তার সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিজের প্রতিষ্ঠা করা রাজনৈতিক দল বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মধ্যকার বিরোধ নিরসন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমদিন নেতাকর্মীদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক শেষে মধ্যরাতে ঘুমাতে যান জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: সংস্কারের বাহানা করে নির্বাচন পেছানো যাবে না: সালাহউদ্দিন
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেনাবাহিনীর একটি দল তার ওপর গুলি চালায় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তার মরদেহেরে পাশে পড়ে ছিল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্নেল এহসান এবং ক্যাপ্টেন হাফিজেরও মরদেহ।
ঘটনার পর ৩০ মে সকালে রেডিওতে প্রথমবারের মতো জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের তৎকালীন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের বরাত দিয়ে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়।
]]>