দেবতাকে তুষ্ট করতে শরীরে বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘুরলেন সম্ভু

৪ দিন আগে
চৈত্র সংক্রান্তি তিথিতে দেবতাকে তুষ্ট করতে নিজেকে উৎসর্গ করেন সম্ভু চন্দ্র রায়। দিনাজপুরের বিদ্যাশ্বরী চত্বরে চড়ক পূজায় মহাদেবের মূর্তির সামনে লোহার বড় বড়শি গেঁথে নেন নিজের শরীরে। এরপর কাঠের বড় খুঁটির সঙ্গে বাঁধা দড়িতে ঝুলে শূন্যে ঘোরেন তিনি। মহাদেব খুশি হলেই নতুন বছরে সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে সংসার- এই বিশ্বাস সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের।

চড়ক পূজাকে ঘিরে সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বিদ্যাশ্বরী এলাকায় হাজারো সনাতন ধর্মালম্বীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। শত শত বছরের পরম্পরায় এ চৈত্র সংক্রান্তি পালন করেন  সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। 


চড়ক পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মন্দিরে কয়েকদিন ধরে হরগৌরী নৃত্য, অসিনৃত্য, শিবের গাজন করা হয়।বিদ্যাশ্বরী মাঠে চড়ক পূজা উপলক্ষে একদিনের মেলা বসে। পূজায় মাঠের মধ্যখানে কাঠের খুঁটিতে লোহার বড়শিতে গেঁথে সম্ভু চন্দ্র রায়কে অন্য পাশ থেকে দড়ি টেনে ঘোরানো হয়। চড়ক ঘোরানোর সময় শঙ্খ ধ্বনি ও ঢাক ঢোল বাজানো হয়। সনাতন ধর্মের মানুষের বিশ্বাস পুণ্যের আশায় চড়ক পূজায় মনের কামনা পূরণ হয়।

আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিচিত্র সাজে চৈত্র সংক্রান্তি পালন

ভক্তরা মনে করেন সংসারের শুধু সুখ শান্তি নয়, চড়ক পূজার প্রসাদ খেলে অনেকের মনস্ক কামনা পূরণ হয়।


চড়কে ঘোরা সম্ভু চন্দ্র রায় বলেন, ‘স্বপ্ন থেকে প্রাপ্ত হয়ে পুণ্য লাভের আশায় চড়কে ঘুরেছি।’


আয়োজক বাবলু চন্দ্র রায় বলছেন, মহারাজার আমল থেকে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সনাতন ধর্মের মানুষ পুণ্যের আশায় এ চড়ক পূজার আয়োজন করে থাকেন।
 

উল্লেখ্য, ৫৫ বছর বয়সী সম্ভু রায় ১৭ বছর ধরে চড়ক পূজার সন্ন্যাসী হয়ে দেবতাকে খুশি করার চেষ্টা করছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন