মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শামীমের মৃত্যু হয়। শরীরের শতভাগ পুড়ে যাওয়ায় শামীমকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
মারা যাওয়া শামীমের বড় ভাই রুহুল আমিন জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতী গ্রামে। তাদের বাবার নাম আব্দুল হামিদ। স্ত্রী মনি আক্তার ও তিন সন্তান নিয়ে টঙ্গীতে থাকতেন শামীম। আনুমানিক ২০ বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন শামীম। সম্প্রতি লিডার পদে পদোন্নতি পান তিনি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শামীমের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন সময় অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। ১৯৬৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ৪৯ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে আগুন: দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম মারা গেছেন
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গী বিসিক এলাকায় সাহারা সুপার মার্কেটের পাশে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের খবর পেয়ে সেখানে যায় ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। আগুন নির্বাপণের কাজ করার সময় হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হলে দগ্ধ হন চার ফায়ার ফাইটারসহ কয়েকজন।
]]>