টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদন মতে, গত ২ সপ্তাহ আদালতে হাজির হননি নেতানিয়াহু। কয়েক দিন আগে তিনি আদালত বরাবর আবেদন করেন, তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে এবং এ কারণে তার মামলারগুলোর শুনানি যেন দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখা হয়।
শুক্রবার (২৭ জুন) আদালত এক আদেশে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর। বিচারক রিভকা ফ্রিডম্যান ফেল্ডম্যান বলেছেন, নেতানিয়াহুর আইনজীবী শুনানি স্থগিতের যে আবেদন জানিয়েছেন তা যথাযথ ব্যাখ্যা বা যুক্তি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আদালতে ৩ টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় নেতানিয়াহুর পাশাপাশি তার স্ত্রী সারাও আসামী করা হয়।
আরও পড়ুন: লেবাননে ফের বিমান হামলা ইসরাইলের
অভিযোগে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু ও সারা রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে দেশি-বিদেশি কোটিপতিদের কাছ থেকে মোট ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার সমমূল্যের সিগার, অলঙ্কার ও শ্যাম্পেন (এক প্রকার মদ) ঘুষ হিসেবে নেন।
বাকি দু’টি মামলায় নেতানিয়াহু একাই আসামি। ২০২০ সালে মামলাগুলোর বিচারকাজ শুরু হয়। নেতানিয়াহু শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে নেতানিয়াহুকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইরান ও ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার একদিন পর বুধবার (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক দীর্ঘ পোস্টে নেতানিয়াহুর বিচারকে ‘উইচ হান্ট’ বলে মন্তব্য করে বলেন, আমি ভাবতেই পারি না যে মানুষটা তার দেশকে এতটা দিল, তার বিরুদ্ধে কীভাবে দুর্নীতির মামলা চলতে পারে’।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওই পোস্টে নেতানিয়াহুকে ‘মহান দেশপ্রেমিক’ ও ‘নায়ক’ বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। বিচার থেকে অব্যহতির আহ্বান জানানোয় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান নেতানিয়াহু। তবে প্রতিবাদ জানান ইসরাইলের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরাইলের জন্য যা করেছেন, সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ; কিন্তু তার প্রতি আমাদের অনুরোধ— দয়া করে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় নাক গলাবেন না।’
]]>