দুর্গোৎসবে ফ্যাসিস্টের দোসররা তৎপর, সতর্ক করলেন বিভাগীয় কমিশনার

১ সপ্তাহে আগে
আসন্ন দুর্গোৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিস্ট দোসরা গোপনে তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে সাফল্যমন্ডিত করতে আমরা (প্রশাসন) আপনাদের পাশে আছি, নির্ভয়ে দুর্গোৎসব পালন করুন। তবে দুর্গোৎসবকে ঘিরে ফ্যাসিস্ট দোসরা গোপনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপর রয়েছে। তারা সুযোগ বুঝে অঘটন ঘটিয়ে খবর প্রচার করে ফায়দা হাসিল করতে চায়। এ কারণে শহর, নগর থেকে শুরু করে প্রামগঞ্জের দুর্গম এলাকার পূজা মণ্ডপগুলোতে প্রশাসনের পাশাপাশি মন্দির কমিটিকেও সতর্ক থাকতে হবে।’


মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগের পূজা মণ্ডপসমূহের নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে এক বিশেষ সভায় বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন।


তিনি আরও বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতিমা ভাঙচুরের পরিকল্পনা থাকতে পারে। তাই প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিনিয়ম নজরদারি করতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। কোনোভাবেই যেন কেউ কোনো দুর্ঘটনা ঘটাত না পারে। 

আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে প্রকৃতি সাজিয়ে রেখেছে নিজেকে, অথচ নেই উন্নয়ন

সভায় ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া, র‌্যাব-১৪ এর অধিনায়ক নয়মুল হাসান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মফিদুল আলম, গোয়েন্দা কর্মকর্তা জুলফিকার আহম্মেদ, খালেকুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইমলামীর আমির মো. আব্দুল করিমসহ জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুরের জেলা প্রশাসক, সনাতন ধর্মের নেতবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজনরা অংশগ্রহন করেন। 


সংশ্লিষ্টরা জানান, এবারের দুর্গাপূজায় ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলায় ১ হাজার ৬৭৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৭৮৪, শেরপুরে ১৭০, নেত্রকোনায় ৫১৭ এবং জামালপুরে ২০৬টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগীতাও করা হয়েছে, বলেও সভায় জানানো হয়। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন