দুবাইয়ে মেয়ের ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগে যা বললেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

৩ সপ্তাহ আগে
অর্থ পাচার ও দুবাইয়ে মেয়ের ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা পাচার করেছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। এটি একটি পার্সোনাল অ্যাটাক।

যুক্তরাজ্য সফর শেষে রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান গভর্নর।


তিনি বলেন, 'বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে তোলা হচ্ছে অভিযোগ। এখানে কোনো সত্যতা নেই। এটি পার্সোনাল অ্যাটাক। যখনই লন্ডনে যাই, তখনই অর্থ পাচারকারীরা এই অ্যাটাকটা করে।'


তিনি আরও বলেন, 'আমার ছেলে-মেয়েরা অ্যাডাল্ট। তারা তাদের লাইফ নিয়ে কি করছে, সেটা তাদের বিষয়। তারা বাড়ি করবে, না গাড়ি কিনবে, কোন দেশে থাকবে, কোথায় বিয়ে করবে; এটা তাদের ব্যাপার। এটা আমার কোনো বিষয় নয়।'

 

আরও পড়ুন: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, চাকরি যাবে না কারো: গভর্নর


এ সংক্রান্ত নিউজের পুরো বিষয়টিই অযাচিত চর্চা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আমি ১ ডলারও পাঠিয়েছি এমন প্রমাণ থাকলে নিয়ে আসেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, এটা কেউ দেখাতে পারবে না।


যুক্তরাজ্য শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের ২৬ কোটি পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতেই প্রমাণিত হয় পাচারের অভিযোগের যথার্থতা রয়েছে। যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে মামলা হবে। তবে পাচারের অর্থ উদ্ধারে আদালতের বাইরে কোনো সমঝোতা হবে কি-না সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।


এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'নির্বাচনের সঙ্গে এ মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’


ব্যাংকের কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, 'এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখার কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের শাখা শহরাঞ্চলে বেশি রয়েছে, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামীণ এলাকায় সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা হতে পারে।'

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন