দুই সন্তানের বাবাকে বিয়ের দাবিতে এক সন্তানের মায়ের অনশন

৩ সপ্তাহ আগে
হাতে কিছু কাপড়-চোপড় ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে দুই সন্তানের বাবা পরকীয়া প্রেমিকের বাড়ির দরজায় বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন এক সন্তানের মা।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে শাহবাজপুর ইউনিয়নের নলডুবরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক আতিক একই এলাকার সাদিকুল ইসলামের ছেলে।


প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা দফায় দফায় তাড়িয়ে দিলে ও মারধর করলেও বাড়ির দরজায় অনড় অবস্থান পরকীয়া প্রেমিকার।


দুই ছেলে-মেয়ের বাবা প্রেমিক পালিয়ে গেলেও তাকে বিয়ে করতে না পারলে দরজার সামনেই জীবন দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ওই নারী।


স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্য সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী গৃহবধূ সঙ্গে প্রায় এক বছরের পরকীয়া প্রেম চলছে আম ব্যবসায়ী আতিকের। এরই জের ধরে অনশনে এসে বিয়ের দাবি জানান ওই নারী। তবে প্রেমিকা পলাতক থাকায় আতিকের পরিবারের সদস্যরা দরজা লাগিয়ে রাখেন। এমনকি কয়েক দফায় মারধর করা হয় তাকে।


আরও পড়ুন: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অবস্থান


গৃহবধূ বিউটি খাতুনের দাবি, পাশেই বাড়ি হওয়ার সুবাদে ফাঁকা বাড়ি পেয়ে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন আতিক। পরে এ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গভীর সম্পর্কে জড়ান তারা। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে বিয়ের কথা বলে কাপড় ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বাসায় ডাকে আতিক। কিন্তু ওই নারী বাসায় আসা মাত্রই পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই বিয়ের দাবি নিয়ে দরজায় অনশনে বসেন ওই নারী।


তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে জোরপূর্বক সম্পর্ক করেছে। এখন বিয়ে করব বলে ডেকে পালিয়ে গেছে। বিয়ে না করলে আমি বাড়ির সামনেই আত্মহত্যা করব। তার কারণে আমার স্বামী সংসার সব হারিয়েছে। সেখানেও আমাকে আর গ্রহণ করবে না।’


স্থানীয়রা জানান, পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীর সঙ্গে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল ওই নারীর। তার স্বামী পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে বেধড়ক মারধরও করেন। তবে স্থানীয়ভাবে হওয়া সালিশে আর এমন কাজ না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের পরকীয়া প্রেম চলমান ছিল।


আরও পড়ুন: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের মায়ের অনশন


এ নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আতিকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তার পরিবারের কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।


তবে আতিকের দুলাভাই আরিফুল ইসলাম জানান, তাদের প্রেমের সম্পর্ক পরিবার জানে না। সেও (আতিক) বাড়িতে নেই। ফোনও বন্ধ। সে আসলে এ নিয়ে একটি সুরাহা করা হবে।


শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তোজাম্মেল হক বলেন, ‘সকালে অনশনের খবর পেয়ে সেখানে গেছিলাম। কিন্তু ছেলে অনুপস্থিত থাকায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। ছেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন