নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সরকারি মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার। ১৯৬০ সালে দুর্গাপুরের প্রায় ৬ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয় মৎস্যবীজ উৎপাদন কেন্দ্রটি। ১৯৮০ সাল থেকে পাঁচটি হ্যাচারিতে বিভিন্ন মাছের রেণু উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু হ্যাচারিতে পানি সংকট দেখা দিলে ২০০০ সালে পুরোপুরিভাবে রেণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
কালের বির্বতনে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এখন বেহাল অবস্থা। এতে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে গেছে অবকাঠোমোসহ যন্ত্রাংশ। আগাছা জন্মে ফাটল ধরেছে ভবনে। বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন কার্যক্রমও।
আরও পড়ুন: মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার / এক যুগ ধরে রেণু উৎপাদন বন্ধ, দায় কার
অন্য জেলা থেকে রেণু আনতে খরচ বাড়ায় লোকসানে মৎস্য চাষিরা। তারা বলেন, মাছের বীজ উৎপাদন না হওয়ায় এলাকার চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গৌরিপুর থেকে মাছের পোনা আনতে হয়। এতে নষ্ট হয়ে যায় বেশিরভাগ পোনা।
আর খামার সংশ্লিষ্টরা বলেন, পানির নিশ্চয়তার মাধ্যমে হ্যাচারিটি পুনরায় চালু করা গেলে মাছের বীজ উৎপাদন করা সম্ভব।
এদিকে, মৎস্য চাষিদের সুবিধার জন্য আবারো খামারটি চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস জেলা মৎস্য কর্মকর্তার। নেত্রকোনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, অবকাঠামোগত মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে খামারটির অবকাঠামোগত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জেলায় ২ হাজার ২৬৫ জন মৎস্য চাষি রয়েছেন। আর পুকুর ও জলাশয়ের সংখ্যা ৪ হাজার ৪৯২টি।
]]>