বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টায় দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি অ্যাডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ২০ মে সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগ আইন-০১ শাখা থেকে দিনাজপুর জেলার ১৩টি থানায় বিগত সময়ে দায়েরকৃত ১২৮টি এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশপত্র জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
তিনি বলেন, ‘এসব মামলা বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর ৫ হাজারের অধিক নেতাকর্মী আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শাসন আমলে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাভাবে পুলিশ কর্মকর্তারা বাদী হয়ে গুরুতর অপরাধ আইনে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এসব মিথ্যা মামলায় কয়েক বছর ধরে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মিথ্যা ও গায়েবি মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সরকারি নির্দেশে দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় এসব ৫১৩ টি মিথ্যা মামলার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। চলতি বছরের প্রথম দিকে এ জেলার ৫১৩ টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জন-নিরাপত্তা বিভাগ থেকে, প্রথম পর্যায়ে এই জেলার ১২৮ টি কথিত রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশপত্র পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, এ জেলার সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারাধীন তালিকাভুক্ত মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে পাবলিক প্রসেকিউটর দপ্তর থেকে আবেদন করে সরকারি সিদ্ধান্তের কপি সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রেরিত নির্দেশপত্র অনুযায়ী মামলাগুলোর প্রত্যাহারের কার্যক্রম প্রায় শেষ করা হয়েছে। মামলাগুলো আদালত থেকে প্রত্যাহার হওয়ায় এ জেলার ৫ হাজারের অধিক বিএনপি এবং জামায়াতের নেতা-কর্মী মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় / পঞ্চগড়ে ২৮ মিথ্যা মামলায় ৩ হাজার আসামির মুক্তি
প্রত্যাহারকৃত মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, দিনাজপুর সদরে ৪৫টি, বীরগঞ্জে ১০টি চিরিরবন্দরে ২৭টি, কাহারোলে ১০টি, পার্বতীপুরে ৩টি, খানসামায় ১৪টি, বিরলে ২টি, বোচাগঞ্জে ২টি, নবাবগঞ্জে ৩টি, হাকিমপুরে ৩টি, ঘোড়াঘাটে ২টি, ফুলবাড়ীতে ২টি ও বিরামপুরে ৫টি।
তিনি বলেন, দিনাজপুর পাবলিক প্রসেকিউটর দপ্তর থেকে ৫১৩ টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের জন্য পাঠানো হয়েছে। মধ্য প্রথম পর্যায়ে ১২৮ টি মামলা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলো। অবশিষ্ট ৩৮৫ টি মামলা পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হবে বলে তিনি আশা করছেন।