উচ্ছেদ অভিযান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শত শত দোকানদার ও ব্যবসায়ী সড়কে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়। অনেকেই উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন, যা এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা জনস্বার্থে এই উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছেন এবং তাদের দাবি, এটি গেজেটভুক্ত জমি যা সড়ক সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজন।
উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রায় ২ হাজার ব্যবসায়ী এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত ৭ হাজার পরিবার। সড়ক বিভাগ জানায়, উচ্ছেদ অভিযানের উদ্দেশ্য হল দিনাজপুর থেকে খানপুর পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ করে এখানে ৪ লেনের রাস্তা নির্মাণ করা।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে ১৯৪২ সালে গেজেট হওয়ায় গত ৮৩ বছরের মধ্যে অধিগ্রহণকৃত জমি সড়ক বিভাগের রেকর্ডভুক্ত ও নথিভুক্ত করার কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। ফলে ৮৩ বছর ধরে ওইসব জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় উচ্ছেদ অভিযানের তিন গাড়ি পুড়িয়ে দিলেন ব্যবসায়ীরা
ঢাকা থেকে আগত ভ্রাম্যমাণ অভিযানের সড়ক বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হক চৌধুরী জানান, ওই জমিগুলো ১৯৪২ সালে সড়ক বিভাগের নামে গেজেটভুক্ত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। উচ্ছেদের পর এখানে ৪ লেইনের রাস্তা তৈরি হবে
দিনাজপুর পুলহাট শিল্পনগরী থেকে খানপুর ১ থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের দুইপার্স্বে দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হিমাগার, চালকল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ২ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিন সকাল দশটা থেকে শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।

১ সপ্তাহে আগে
২







Bengali (BD) ·
English (US) ·