শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল ৩টায় দিনাজপুর শহরের কালীতলা মাহবুব রহমানের বাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ সজীব জানান, দোকান থেকে একটি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার মাহবুবের বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর সংযোগ দেওয়ার পর থেকেই লিকেজ দেখা যায়। গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ বন্ধ করার জন্য কয়েকজন চেষ্টা করার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই আগুন ধরে যায়। এই লিকেজ অবস্থায় সিলিন্ডার মিস্ত্রি রিয়াজ উদ্দিন লিকেজ বন্ধ করার জন্য পুনরায় রান্নাঘরে ঢোকে। এসময় রান্নাঘরে হঠাৎ করেই সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের বাড়ির লোকজন দেখতে আসা সেই সিলিন্ডারের আগুনের ফুলকি ছিটকে তাদের গায়েও লাগে। ঘরের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা থাকা বাড়ির মালিক মাহবুব রহমানের স্ত্রী রুবিনা বেগমসহ ৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাবা-ছেলে দগ্ধ
ঘটনার সময় বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে প্রাইভেট শিক্ষক হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘গ্যাস লিকেজের কারণে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়।’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন ‘সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে।’
খবর পেয়ে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন জানালেন দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুল ইসলাম।
অগ্নিদগ্ধ আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন রিয়াজ উদ্দিনকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে। ২৪ শতাংশ শরীর ও শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তিনি দিনাজপুর সদরের মাজাডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ছেলে।