জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জারিফ সুলতানের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে অংশ নেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
অভিযানে বয়রা অটো রাইস মিল ও নবান্ন মুড়ির মিলকে ৫০ হাজার টাকা, সৈয়দা এলমিস চৌধুরী অটো রাইস মিলকে ৩৫ হাজার টাকা, মেসার্স নিলুফা অটোমেটিক রাইস মিলসকে ২৫ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ অটো রাইস মিলসকে ৫০ হাজার টাকা এবং পূবালী অটো রাইস মিলসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীর রাইস মিলে ‘যুবলীগ-ছাত্রলীগ’ নেতাদের ভাঙচুরের অভিযোগ, মামলা
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বোরো খাদ্যশস্য সংগ্রহের মৌসুম চলছে। দিনাজপুর জেলার প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি রাইস মিল সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও তারা গুদামে ধান সরবরাহ করছে না। পরিদর্শনকালে দেখা যায়, মিলগুলোতে প্রচুর ধান মজুত রয়েছে এবং তারা উৎপাদনও চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সরকারি গুদামে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
তিনি আরও জানান, মিলের লাইসেন্স অনুযায়ী এক মাস পর্যন্ত ধান মজুত বৈধ। কিন্তু অধিক মুনাফার আশায় মিল মালিকরা অতিরিক্ত সময় ধরে ধান রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। এজন্য তাদের জরিমানা করা হয়েছে এবং আগামী ৭ আগস্টের মধ্যে সকল চুক্তিভুক্ত চাল সরবরাহের জন্য অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়েছে।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জারিফ সুলতান জানান, চুক্তি ভঙ্গ ও অবৈধ মজুতের অভিযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান ও চাল সরবরাহ নিশ্চিত না করলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে গেছে হাস্কিং রাইস মিল, শ্রমিকরা বেকার
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
]]>