ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৪ জুন) ভোরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরজাহানপুর এলাকায়।
নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। শনাক্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন সেনা সদস্যও। নিহতরা হলেন নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার মৃত আকাস আলীর ছেলে ও বাসের সুপারভাইজার আমিনুল ইসলাম, পঞ্চগড়ের বোদা থানার হাসেম আলীর মেয়ে তামান্না এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার টুনিরহাট এলাকার সেনা সদস্য এরশাদ আলী। পুলিশ জানায়, বাকিদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়ামতুল্লাহ জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ওই এলাকায় একটি আমবোঝাই পিকআপ ভ্যান উল্টে যায়। স্থানীয় প্রশাসন ও শ্রমিকরা সেটি সরিয়ে নিতে কাজ করছিলেন।
এরই মাঝে পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি কোচ রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুর্ঘটনা কবলিত আমবোঝাই ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এরপর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা আরেকটি বিকল বালুবাহী ট্রাকেও ধাক্কা দেয়। এতে বাসের পাঁচ যাত্রী নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন পুরুষ।
আরও পড়ুন: বাড়ির উঠান থেকে ধরে নিয়ে কিরোশীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দুজন গ্রেফতার
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। আহতদের প্রাথমিকভাবে ঘোড়াঘাট ও ওসমানপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে অনেককে রংপুর মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাইওয়ে নির্মাণ করা হলেও রাস্তার পাশে ট্রাক দাঁড়ানোর কোনো নির্ধারিত স্থান নেই। ফলে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। তারা জানান, যেখানে সেখানে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
]]>