দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার তারগাঁও গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেন। গ্যাপ পদ্ধতিতে মাচায় চাষ করেছেন চিচিঙ্গা। দূর থেকে দেখে সবুজ গালিচা মনে হলেও কাছে যেতেই দেখা মেলে লতানো সবুজ ক্ষেত; মাচায় মাচায় ঝুলছে চিচিঙ্গা।
এটি এক নতুন চাষ পদ্ধতি। যা জাগিয়েছে নিরাপদ, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিল রেখে কৃষি পণ্যে উৎপাদনের এক নতুন সম্ভাবনা। পশু বা পাখির উৎপাত থেকে রক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে নেট বা ফাঁদ। বাবুল হোসেন বলেন, দুই দিন পর পর ক্ষেত থেকে ৮-১০ হাজার টাকার ফসল বিক্রি করি।
বাবুল হোসেনের মতো কাহারোলের অনেক কৃষকই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পাটনার প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে চাষ করছেন এই সবজি। তারা বলেন, বাজারে ভালো সাড়া মেলায় অনেকেই এই পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে চা চাষে সাফল্য, আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে চাষ করা এসব চিচিঙ্গা সহজে রফতানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করে কৃষি বিভাগ। দিনাজপুর কাহারোলের কৃষি অফিসার মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, চিচিঙ্গার পাশাপাশি করলা, শষা ও লাউসহ গ্যাপের পদ্ধতিতে অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ আনিসুজ্জামান বলেন, নিরাপদ সবজি পাওয়ায় ভোক্তাদের মধ্যেও সাড়া মিলছে। এতে চিচিঙ্গার পাশাপাশি পটোল, করলাসহ অন্যান্য ফসল চাষ শুরু হয়েছে। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে চাষ করা এসব ফসল সহজেই রফতানি করা সম্ভব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য, দিনাজপুর জেলায় ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে গ্যাপ পদ্ধতিতে চিচিঙ্গা আবাদ করা হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে।
]]>