দামেস্কে ১২ বছর পর উড়ল যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা, সিরিয়া-ইসরাইল শান্তির প্রত্যাশা দূতের

২ দিন আগে
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেছেন দামেস্কে নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত থমাস ব্যারাক। একই সঙ্গে সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাতকে সমাধানযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১২ বছর পর দামেস্কে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে মার্কিন পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় মার্কিন দূত ব্যারাক বলেন, সিরিয়া- ও ইসরাইলের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য ‘সংলাপ’ শুরু করা উচিত।

 

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই এই বিরোধ একটি সমাধানযোগ্য সমস্যা। তবে এর সূচনা হওয়া উচিত আক্রমণ না করার একটি চুক্তি থেকে। এরপর সীমান্ত ও সীমারেখা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

 

মধ্যপ্রাচ্যে সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি দেখা গেছে। সফরকালে রিয়াদে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সাথে দেখা করেন ট্রাম্প। পরে সিরিয়ার নতুন নেতার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মার্কিন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল সিরিয়া

 

ব্যারাক বলেন, সিরিয়াকে আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে বিবেচনা করবে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই ইস্যুটির অবসান হয়ে গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি হলো সিরিয়ার এই তরুণ সরকারকে একটি সুযোগ দিতে চাই, হস্তক্ষেপ না করে, শর্ত না দিয়ে, আমাদের সংস্কৃতি চাপিয়ে না দিয়ে।

 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্যারাককে গত ২৩ মে সিরিয়ার মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয় এবং তিনি দেশটিতে তার প্রথম সরকারি সফরে আছেন। ব্যারাক একইসঙ্গে তুরস্কেও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় নিখোঁজ ও গুম হওয়াদের অনুসন্ধানে জাতীয় কমিশন গঠন

 

সিরিয়া দীর্ঘদিন ধরে আরব-ইসরাইল সংঘাতের প্রধান ফ্রন্টলাইন রাষ্ট্র। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল গোলান মালভূমি দখল করে। এরপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের সময় সীমান্ত অঞ্চলে আরও এলাকা দখল করে নেয়।

 

রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইল ও সিরিয়ার কর্মকর্তারা এরইমধ্যে সরাসরি বৈঠক করেছেন। মূলত উত্তেজনা প্রশমন ও সীমান্ত সংঘর্ষ এড়ানোর লক্ষ্যে এই বৈঠক হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে রিয়াদে ট্রাম্প-শারা বৈঠকেও এই বিষয়টি আলোচনায় আসে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন