দাফনের ৮ মাস পর সাংবাদিকের মরদেহ উত্তোলন

৪ সপ্তাহ আগে
জামালপুরের প্রবীণ সাংবাদিক ও দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন-এর সম্পাদক ও প্রকাশক নুরুল হক জঙ্গির মৃত্যুর আট মাস পর আদালতের নির্দেশে তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কাঠপাড়া এলাকায় পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।

 

উত্তোলন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আলমগীর হোসেন। পরে পিবিআই লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

 

২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় দুই ইজিবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক জঙ্গি (৭৫)। স্থানীয়রা তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরদিন তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীসহ জাবিপ্রবিতে ৫১ জনকে শাস্তি

 

এরপর চলতি বছরের ১৩ মার্চ নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় নিহতের প্রথম স্ত্রী খায়রুন্নেছা কাজলী, জামাতা জুলহাস উদ্দিন, দুই মেয়ে জেবুন্নেছা কাকলী ও জিনাতুননেছা কণা এবং পত্রিকার স্টাফ দেলোয়ার হোসেনকে।

 

মামলাটি প্রথমে সদর থানা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। তবে এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন পিবিআই জামালপুরকে। তদন্তের অংশ হিসেবে গত ১ জুলাই আদালতে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করে পিবিআই। আদালতের অনুমতি পেয়ে আজ সোমবার লাশ উত্তোলন করা হয়।

 

পিবিআই জামালপুরের ইন্সপেক্টর মোশারফ হোসেন বলেন, ‘মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

 

মেলান্দহ ইউএনও এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সাংবাদিক নুরুল হক জঙ্গির লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন