নিহতের পরিবারের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বুধবার (২০ নভেম্বর) নেত্রকোনার কলমাকান্দার বড়খাপন গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে ওই মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
জানা যায়, মো. শাফায়েত মিয়ার ছেলে সোহাগ তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় থাকতেন। গত ১৯ জুলাই বিকেলে তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হন। ইন্টারনেট বন্ধ থাকাকালীন সময়ে মৃত্যুর চারদিন পর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কলমাকান্দার বড়খাপন গ্রামে ২৩ জুলাই দাফন করা হয়।
আজ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলমাকান্দা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিবারের স্বজনদের সামনে রেখে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন।
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হলো শহীদ রাজু-মাহিনের মরদেহ
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ মিয়া তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় থাকতেন। গত ১৯ জুলাই বাসা থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ দিকে বাবা মো. শাফায়েত ছেলেকে খোঁজতে বের হয়ে শোনেন তার ছেলে হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখেন গুলিবিদ্ধ ছেলের নিথর দেহ। পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে সোহাগের মরদেহ দাফন করা হয়।
সোহাগের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২০ আগস্ট ঢাকা ডিএমপি ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা শাফায়েত। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: দাফনের ২ মাস পর কবর খুঁড়ে তোলা হলো তাসলিমার মরদেহ
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের ঢাকা মেট্রো উত্তর মালিবাগ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সিআইডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি দাফন করা হয়েছিল। তাই তদন্তের স্বার্থে চিফ মেট্রোপলিটন বিজ্ঞ আদালতে মরদেহের ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বুধবার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে।
এ সময় নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার হোসেনসহ কলমাকান্দা থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
]]>