পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন মতে, দাঙ্গার সময় একটি থানায় হামলার অভিযোগে পাঁচজনকে মোট ২৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত।
২০২৩ সালের ৯ মে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ করে পিটিআই সমর্থকরা। বিক্ষোভ এক পর্যায়ে সহিংস হয়ে ওঠে ও দাঙ্গায় রূপ নেয়।
বিক্ষোভকালে সামরিক স্থাপনা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভবনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমনকি লাহোরে সেনা কমান্ডারের বাসভবনেও আক্রমণ করা হয়। দাঙ্গার পর দেশজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ। পিটিআইর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় খনি ধসে ১০ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬
শুক্রবার ওই দাঙ্গা সংশ্লিষ্ট একটি মামলার রায় দেয়া হয়েছে। দাঙ্গার সময় একটি থানায় হামলার জন্য অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন এটিসি স্পেশাল কোর্ট-২-এর বিচারক তাহির আব্বাস সিপ্রা। তিনি দোষীদের পাকিস্তান দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় সাজা দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকে মোট ৩ লাখ ২৭ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আইনপ্রণেতা আব্দুল লতিফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আগামী পাঁচ বছরের জন্য পার্লামেন্টে ‘অযোগ্য’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। রায় ঘোষণার পর পুলিশ আদালতে উপস্থিত চার অভিযুক্ত মীরা খান, মুহাম্মদ আকরাম, শাহজেব ও সোহেল খানকে হেফাজতে নেয়।