দলের বাকিদের সমালোচনা করলেও মেসিকে দায় দিতে নারাজ ইব্রাহিমোভিচ

৬ দিন আগে
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে রোববার (২৯ জুন) পিএজসির কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে মেসির ইন্টার মায়ামি। প্রথমার্ধেই ৪ গোল হজম করে কোণঠাসা হয়ে পড়ে এমএলএস-এর দলটা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য চেষ্টা করেছেন মেসি, তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলে পরাজিত হয় মায়ামি। তবে এতে আর্জেন্টাইন তারকার কোনো দায় দেখছেন না জ্লাতান ইম্রাহিমোভিচ।

ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার আগে দুই মৌসুম পিএসজিতে কাটিয়েছেন মেসি। সেখানে অবশ্য তার অভিজ্ঞতা আহামরি ভালো নয়। ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউটে যখন পিএসজি-ইন্টার মায়ামির সূচি চূড়ান্ত হয়, তখন বেশ জোরেসোরে আলোচনা উঠে আসে, পিএসজির জার্সিতে মেসির তিক্ত অতীত। 

 

ম্যাচের আগে মেসি-সুয়ারেজদের নিয়ে গড়া মায়ামির আক্রমণভাগ নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। এছাড়া মাঝমাঠে সের্হিও বুসকেটস ও রক্ষণে জর্দি আলবাদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলাররা থাকায় দারুণ এক লড়াইয়ের আশায় ছিলেন সমর্থকেরা। তবে মাঠের খেলায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি মায়ামি। 

 

আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মনে করেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবেন মেসি

 

ইন্টার মায়ামির এমন বাজে পারফরম্যান্সের জন্য অবশ্য মেসিকে কোনো দায় দিতে নারাজ ইব্রাহিমোভিচ। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় খেলেছেন সুইডেনের সাবেক এই তারকা। তার বিশ্বাস, সঠিক দল পেলে মেসি এখনও মাঠে যেকোনো কিছু করতে পারেন। 

 

‘লিও মেসি হারেনি, ইন্টার মায়ামি হেরেছে। মেসি যেন কিছু মূর্তির সঙ্গে খেলছিলো, সতীর্থদের সঙ্গে নয়। তার চারিদিকে এমন সব খেলোয়াড়, যেন মাঠে তারা সিমেন্টের বস্তা বহন করছিলো।’ 

 

আরও পড়ুন: ম্যাচ শেষে মেসির সবকিছু নিয়ে গেলেন দেম্বেলে

 

ইব্রাহিমোভিচ আরও বলেন, ‘সে যদি সত্যিকারের কোনো দলে থাকতো, কোনো বড় দলে, তাহলে সত্যিকারের সিংহের দেখা মিলতো। মেসি ফুটবল খেলে, কারণ সে খেলাটা ভালোবাসে, কারণ সে এখনও সেইসব করতে পারে, যা ৯৯ শতাংশ খেলোয়াড় পারে না।’ 

 

এবার প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ। গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ হারেনি মেসির ইন্টার মায়ামি। তবে নকআউট পর্বে পিএসজির কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বাদ পড়েছে মেসিরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন