প্রতিবেদন মতে, দলের বিভিন্ন কমিটি থেকে শাহবাজ গিলের মতো বিতর্কিত শীর্ষ নেতাদের বাদ দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। দলের ভেতরের খবর জানেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের সাথে আলোচনা করা হবে। দলে যেকোনো ধরনের বড় পরিবর্তনের জন্য তার মতামত জরুরি।
পরিবর্তনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পিটিআই দলের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি অর্থাৎ মাত্র মাস তিনেক আগে এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে জুলফি বুখারি, সাজ্জাদ বুরকি, শাহবাজ গিল ও আতিফ খানের মতো খ্যাতনামা নেতাদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল।
ইমরান খানের পরামর্শে পিটিআই নেতা গহর খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিটিআইয়ের কিছু প্রখ্যাত নেতা কমিটির কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইমরান খানের কাছে বার্তা পাঠানোর পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের নামাজও পড়তে পারলেন না ইমরান খান, কারণ কী?
অভিযোগ ওঠে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিষয়ে কী মনোভাব গ্রহণ করা হবে, তা নিয়ে পিটিআইয়ের ইউএস চ্যাপ্টার বিভক্ত হয়ে পড়ছিল। দলের কিছু সদস্য সেনাবাহিনীর বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। অন্যরা নমনীয় অবস্থানে ছিলেন। তারা সংলাপের পক্ষে কথা বলছিলেন। এ নিয়ে দলের মধ্যে কোন্দল তৈরি হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পাকিস্তানের কিছু চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীর ইসলামাবাদ সফরের পর এই কোন্দল আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সফরকালে তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে খবরে বলা হয়। এরপর তারা রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গেও দেখা করেন।
পিটিআই ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত তাদের প্রচেষ্টা দলের প্রবাসী কট্টরপন্থিদের সমালোচনার মুখে পড়ে। এমন অবস্থায় পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের অনেকে মনে করছেন, দলের উগ্রপন্থি অংশ বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শাখার নেতৃত্বে পরিবর্তন না আনা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সঙ্গে অর্থপূর্ণ সংলাপ সম্ভব নয়। কারণ এই অংশটা অব্যাহতভাবে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করছে।
আরও পড়ুন: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত কারাবন্দি ইমরান খান!
এই পরিস্থিতিতে পিটিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো থেকে নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির সম্ভাব্য ছাঁটাই দলটির বৃহত্তম কৌশলের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে যা দলটির আগামীর রাজনীতির গতিপথ ঠিক করতে পারে। এসব সংস্কারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানকে কারাগার থেকে মুক্ত করা।