বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধীন দর্শনা বিওপি এলাকার সীমান্তের ৭৬নং মেইন পিলারের নিকট শূন্য লাইনে বাংলাদেশ অংশে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান এবং বিএসএফের পক্ষে ৩২-ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমার নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অভিবাসন হিসেবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইন করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কোনো নাগরিককে পুশইন করা একদিকে যেমন সীমান্ত আইন লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে ৩৮ জনকে পুশইনের চেষ্টা, বিজিবির বাধা
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করার প্রয়োজন দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালিকা বিজিবির কাছে হস্তান্তর করতে হবে। বর্ণিত নাগরিকদের জাতীয়তা ও পরিচয়পত্র নিশ্চিতকল্পে অতি দ্রুত সময়ে প্রত্যাবাসন করা হবে বলে বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে আশ্বস্ত করা হয়। ভারতে অবৈধভাবে অভিবাসনকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের প্রস্তাবিত বিষয়টির সঙ্গে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট একমত পোষণ করেন। সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে লোকাল কমান্ডারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে বিজিবির অধিনায়ককে আশ্বস্ত করে বিএসএফ।
এছাড়া সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ সীমান্ত সুরক্ষার লক্ষ্যে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম, চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্তে টহল তৎপরতা বৃদ্ধি এবং গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা একমত পোষণ করেন।
]]>