দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত

১ সপ্তাহে আগে
বিদেশে পড়াশোনা মানেই বিশাল খরচ এই ধারণার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই স্বপ্নপূরণের আগে থেমে যায়। বিশেষ করে মফস্বল ও শহরের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীরা মনে করেন বিদেশে পড়া শুধুই অভিজাতদের কাজ। কিন্তু সেই ধারণা ভাঙছে দক্ষিণ কোরিয়া। কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তি আর ক্যারিয়ারের দিগন্ত উন্মোচন করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে দিচ্ছে নতুন দরজা।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু আধুনিক নয়, আন্তর্জাতিক মানেও সমৃদ্ধ। প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় দেশটি এগিয়ে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো খরচ। বছরে গড়ে ৫–১০ লাখ টাকায় পড়াশোনা করা সম্ভব। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ ও টিউশন ফি ওয়েভারও দিয়ে থাকে, যা শিক্ষার্থীদের চাপ আরও কমায়।

 

জীবিকা ও খরচ সামলানোর সুযোগ

শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বৈধভাবে পার্ট-টাইম কাজ করতে পারে। মাসে গড়ে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। এতে মাসিক খরচের (৫০–৭০ হাজার টাকা) বড় অংশ মিটে যায়। সঠিক পরিকল্পনা করলে শিক্ষার্থীরা নিজের আয়ে মোট খরচের প্রায় ৯০% পর্যন্ত সামলাতে পারে।

 

ভাষা কোনো বাধা নয়

কোরিয়ান ভাষার পাশাপাশি অনেক কোর্স ইংরেজিতেও পড়ানো হয়। ফলে যারা ইংরেজি-ভিত্তিক পড়াশোনায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাদের জন্যও সুযোগ উন্মুক্ত। একই সঙ্গে নতুন ভাষা শেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ারে বাড়তি দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

 

পড়াশোনার পর ক্যারিয়ার

দক্ষিণ কোরিয়া শুধু শিক্ষা নয়, ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও আকর্ষণীয়। কোর্স শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা স্থানীয় চাকরি বাজারে প্রবেশ করতে পারে। অনেকেই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন, আবার কেউ স্থায়ীভাবে সেখানে কাজ করার সুযোগ পান।

 

কেন জিপিইএল?

গ্লোবাল পাথওয়ে এক্সপার্টস লিমিটেড (জিপিইএল) জানে শুধু ঢাকার শিক্ষার্থীরা নয়, মফস্বল ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেও হাজারো তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন রয়েছে বিদেশে পড়ার। কিন্তু তথ্যের অভাব, ভুল পরামর্শ ও জটিল প্রক্রিয়া তাদের পিছিয়ে দেয়।

 

GPEL সেই বাধা দূর করছে। ভর্তি, ভিসা প্রসেসিং, ডকুমেন্টেশন, স্কলারশিপ, এমনকি ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং প্রতিটি ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে সহায়তা করছে অভিজ্ঞ টিম। তাদের লক্ষ্য একটাই: কম খরচে সঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো এবং শিক্ষার্থীর যাত্রাকে নিরাপদ ও সফল করা।

 

আরও পড়ুন: ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরুর তারিখ নির্ধারণ

 


শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা

দিনাজপুরের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিদেশে পড়ার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু ভেবেছিলাম খরচ সামলাতে পারব না। GPEL-এর কাউন্সেলিং-এর পর বুঝলাম দক্ষিণ কোরিয়া আমার নাগালের মধ্যেই। তারা ভর্তি থেকে ভিসা পর্যন্ত সবকিছুতে পাশে আছে । এখন আমি যাবার আশা করছি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হবে।

 

কারা সুযোগ পাবেন?

HSC গ্রাজুয়েট
A-Level ও O-Level শিক্ষার্থী
ফাইনাল ইয়ার ব্যাচেলর শিক্ষার্থী
মাস্টার্স অ্যাসপির্যান্ট
যারা IELTS, PTE বা GRE প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং ২০২৫–২০২৬ সালে বিদেশে পড়ার পরিকল্পনা করছেন। 

 

শেষকথা

বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন আর শুধু বড় বাজেট বা ঢাকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সঠিক পরিকল্পনা, সাশ্রয়ী খরচ ও GPEL-এর সহযোগিতায় মফস্বল কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেও এখন বিদেশে পড়া সম্ভব।
“স্বপ্ন তোমার, দায়িত্ব আমাদের”এমন উদ্দেশ্য নিয়েই জিপিইএল শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে এগিয়ে নিচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন