দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন আটক

৩ সপ্তাহ আগে
বুধবার দিনের শুরুতে পাঁচ ঘণ্টার অচলাবস্থার অবসানের পর সিউলে অবস্থিত কড়া প্রহরাধীন মাউন্টেন কমপাউন্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। ইউনের গাড়িবহর দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এসে পৌঁছানোর পর তাকে গত মাসে সামরিক আইন জারির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিদ্রোহের অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর কাছে একটি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।  কর্তৃপক্ষের হাতে এখন ৪৮ ঘণ্টা সময় আছে। এর মধ্যে ঠিক করতে হবে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে, নাকি তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটাই ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে পুলিশী হেফাজতে নেওয়ার প্রথম ঘটনা। বুধবার দিনের শুরুতে ইউনের বাসভবনের বাইরে ক্ষমতাসীন দলের ৩০ জন আইনপ্রণেতা তাকে আটকের প্রচেষ্টা বানচাল করার জন্য মানববন্ধন তৈরি করেন। ইওনহাপ সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। তবে তদন্তকারীরা জানান, প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তা বাহিনী এবার আর আগেরবারের মতো ইউনকে আটকের প্রচেষ্টায় তেমন কোনো বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। গতবার ইউনকে আটক করার প্রচেষ্টার সময় তারা মানব-ব্যারিকেড গঠন করে ইউনকে সুরক্ষা দেন। এক ব্রিফিংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি দমন সংস্থা জানায়, বুধবার “তেমন কোনো” সংঘাত দেখা দেয়নি। গত মাসে সামরিক আইন জারির দায়ে ইউনকে অভিশংসিত করা হয়েছে। তিনি তার ঐ আদেশের পক্ষে “রাষ্ট্রবিরোধী মহলকে নির্মূল করা” এবং “সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক আইনকে সুরক্ষিত রাখার” যুক্তি দেন। দেশটির সাংবিধানিক আদালতে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে ইউনকে পদচ্যুত করা হবে। ইউনের আইনজীবীরা তাকে আটকের প্রচেষ্টার সমালোচনা করে বলেছেন, এটি রাজনৈতিক মদদপুষ্ট উদ্যোগ। তারা আরও যুক্তি দেন, আদালত তাকে আটকের পরোয়ানা জারি করলেও তাদের এরকম কোনো এখতিয়ার নেই এবং প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগের তদন্ত করারও কোনো এখতিয়ার নেই দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থার।
সম্পূর্ণ পড়ুন