দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট এবার ফৌজদারি বিচারের মুখে

৩ সপ্তাহ আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবার ফৌজদারি আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে।

গত বছরের শেষের দিকে ইউন সুক ইওলের বিতর্কিত সামরিক আইন ঘোষণা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল বলেই মত বিচারকদের।

 

সামরিক আইন ঘোষণার ১২৩ দিন পর গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) পার্লামেন্ট থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার রায় দেন দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ আদালত।

 

সাংবিধানিক আদালতের বিচার শেষ হওয়ার পর এবার ফৌজদারি আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সদ্য অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। 

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল পদচ্যুত

 

সাবেক এই প্রেসিডেন্টের আইনি লড়াই এখন ফৌজদারি আদালতে স্থানাস্তরিত হচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।
 

 

সংবিধানের ৮৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা রাষ্ট্রদ্রোহ ব্যতীত কোনো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা যাবে না। 

 

তবে পার্লামেন্ট থেকে অভিশংসনের পর থেকে ফৌজদারি বিচার শুরু করার আর কোনো বাধা নেই। সাংবিধানিক আদালত তাকে অভিযুক্ত করে পদচ্যুতির নির্দেশ দিয়েছেন। 

 

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, গত বছর তড়িঘড়ি করে সামরিক আইন জারি করে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছিলেন ইউন সুক ইওল।

 

আরও পড়ুন: সংলাপে বসছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান

 

এছাড়াও ইউনের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে সংসদীয় নির্বাচনের আগে প্রার্থী মনোনয়ন কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন তিনি। সেই সময় রাজনীতিতে নতুন আগত এই নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। 

 

এদিকে  ইউনের স্ত্রী কিম কিওন হির বিরুদ্ধেও রয়েছে বড় অভিযোগ। এক পাদ্রির কাছ থেকে ২ হাজার ২৫০ ডলার মূল্যের ডিওর ব্র্যান্ডের হ্যান্ডব্যাগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

 

এশিয়ার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত দেশটিতে প্রায় অর্ধশত বছরের মধ্যে প্রথম সামরিক আইন জারির ঘটনায় হতবাক হন কোরীয়রা। দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বশেষ সামরিক শাসন জারি হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। 

 

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা চীনের, কবে থেকে কার্যকর?

 

ওই সময় দেশটির দীর্ঘসময়কার সামরিক স্বৈরশাসক পার্ক চুং হি অভ্যুত্থানে নিহত হন। পরে ১৯৮৭ সালে দেশটি সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করার পর এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন