বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে র্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে কয়েক’শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। চাল, ডাল, তেল, বিস্কুট, চিনি ও আটা সহ ১৪টি প্রয়োজনীয় পণ্য ছিল এ ত্রাণের তালিকায়। ত্রাণ পেয়ে খুশি জালিয়াপাড়ার মানুষ। তারা জানায়, এমন সহযোগিতা দুর্দিনে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।
টানা বৃষ্টির ফলে টেকনাফের হ্নীলা, টেকনাফ সদর, পৌরসভা, সাবরাং, সেন্টমার্টিন ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তবে গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি কমায় অধিকাংশ এলাকার পানি নেমে গেছে। তবে এখনও জালিয়াপাড়ায় পানিবন্দি প্রায় ৬০-৭০টি পরিবার। এদের পাশে আরও সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানোর দাবি স্থানীয়দের। মানবিক সহায়তার এ উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে র্যাব-১৫।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী
র্যাব ১৫ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, টানা ৯ দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার জেলায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও আকস্মিক বন্যায় টেকনাফের জালিয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ এলাকার জেলে ও প্রান্তিক আয়ের মানুষজন ঘরবন্দি হয়ে খাদ্য ও নিরাপদ পানির সংকটে পড়ে। আকস্মিক জলাবদ্ধতা ও বন্যার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ রেখেছে র্যাব-১৫। তারই ধারাবাহিকতায় এসব মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে পাশে দাঁড়িয়েছে র্যাব। বৃহস্পতিবার ১শ’র বেশি পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে। একইভাবে টেকনাফের অন্যান্য এলাকাগুলোতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে র্যাব।
মেজর মো. সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের মতো বান্দরবানেও অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে খাদ্য সংকট কিংবা দুর্ভোগে পড়েছেন। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের তালিকা করে পানিবন্দি এসব পরিবারগুলোকেও সহায়তা দেয়া হবে।’
]]>