তৃতীয় পক্ষের উত্থানের শঙ্কা বিশ্লেষকদের

৪ সপ্তাহ আগে
নির্বাচন সামনে রেখে অযৌক্তিক জেদের রাজনীতি দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে পারে-- এমন শঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, দলগুলো নিজ নিজ দাবিতে অনড় থাকলে ক্ষমতায় আসতে পারে তৃতীয় পক্ষ, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়।

ফেব্রুয়ারির প্রথামর্ধেই নির্বাচন আয়োজনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ দূর হয়নি। তাই ভোট নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের শঙ্কার কথা বলছেন রাজনীতিকরা।

 

রাজনীতিতে হঠাৎ উত্তেজনার মধ্যে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরেনি দলগুলো।

 

সংসদের বাইরে সংবিধান সংশোধনে রাজি নয় বিএনপি। জামায়াতের চাওয়া- সনদ বাস্তবায়নে গণভোট ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। আর এনসিপির দাবি, আগামী নির্বাচন হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন।

 

আরও পড়ুন: পিআর পদ্ধতি নিয়ে জোটবদ্ধ আন্দোলনের আভাস

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, দলগুলো নিজ নিজ দাবিতে অনড় অবস্থানে থাকলে সহজ করবে তৃতীয় পক্ষের ক্ষমতায় আসার পথ। দ্রুত ঐক্যবদ্ধ না হলে খারাপ ভবিষ্যতের দায় সব দলকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য এই বিশ্লেষকের।

 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই শিক্ষক বলেন, 

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেই ভিন্নমত থাকলে তো সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা থাকাটা স্বাভাবিক। সব দল অনড় থাকলে যদি নির্বাচনটা না হয়, তখন তৃতীয় পক্ষ ক্ষমতায় আসবে, যারা গণতন্ত্র চায় না। দেশে আবার সামরিক শাসন শুরু হবে অথবা ইউনূস অন্য কারও হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যাবে। বিশেষ করে সামরিক শাসন আসলে কিন্তু আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

 

আরও পড়ুন: জটিল হচ্ছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শঙ্কায় বিশ্লেষকরা

 

‘একেবারে অযৌক্তিক জেদের রাজনীতি আমাদেরকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে। এখনও তাদের মধ্যে ঐকমত্য না হলে মব ভায়োলেন্সের প্রবণতা আরও বাড়বে। সেই অবস্থায় দেশকে তারা নিয়ে যেতে চাইলে দায় তখন তাদেরকেই নিতে হবে’, যোগ করেন তিনি।  

 

নির্বাচন ও দাবি-দাওয়া একসঙ্গে চলতে পারে, এমন মন্তব্য করে ড. সাব্বির মনে করেন, বৃহৎ স্বার্থে সবাইকে এক হতেই হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন