আকাশে সূর্য যেন বিচ্ছুরিত হচ্ছে। সেই তাপে পুড়ছে জনজীবন। সড়কের তাপ ও সূর্যের তাপ মিলে নাকাল যশোরের মানুষ। গত কয়েকদিন ধরেই যশোরে তাপমাত্রার পারদ ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে বিরাজ করছে।
যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রোববার বেলা ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ৩টা নাগাদ তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়াবে।
তীব্র এ গরমে কাজের সন্ধানে ঘরের বাইরে আসা শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। ছাতাও যেন আজ মানছে না তাপ।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মেহেরপুরবাসী
আব্দুল জলিল নামে এক রিকশা চালক জানান, গতকাল থেকে আজ গরম কিছুটা কম হলেও রিকশা চালানো যাচ্ছে না। বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে ভাড়া টানতে হচ্ছে। তাছাড়া স্কুল কলেজ অফিস আদালত বন্ধ থাকায় যাত্রী মিলছে না। আয় রোজগার নেই।
শাহ আলম নাম এক পথচারী বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে যশোরে প্রচুর গরম। ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি। প্রকৃতিতে বাতাস নেই। অঝোরে ঘাম হচ্ছে। নাকাল হয়ে যাচ্ছি। বাড়ির শিশুদের অবস্থা বেগতিক।’
জালাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ভাইপোদের নিয়ে বাড়ির সামনে হাতপাখার বাতাসে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ঘরের ভিতর টেকা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসও গরম। তার পিচ্চিগুলো নিয়ে বাইরে এসে বসেছি। কিন্তু একটু বাতাও বইছে না। তাই হাত পাখার বাতাসে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছি। একটু বৃষ্টি হলে স্বস্তি পেতাম।’
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
এদিকে গরম থেকে বাঁচতে শিশু কিশোরদের জলকেলিতে মেতে থাকতে দেখা যায়। যা তাদের অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে জানিয়েছে সালমান নামে এক কিশোর। সে বলে, গরম টেকা যাচ্ছিলো না। তাই দল বেঁধে পুকুরে গোসল করতে নেমেছি। আধা ঘন্টা ধরে পানিত আছি। বেশ ভালো লাগছে।