সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এর আগের দিন রোববার বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়।
তিস্তা তীরবর্তী লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চরে বসবাসরত বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে তাদের বাড়িঘর, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি।
মহিষ খোঁচা ইউনিয়নের কৃষক দুলাল ইসলাম বলেন, ‘তিন দিন ধরে বাড়িঘরে পানি ঢুকছে। পানি বাড়ায় চরের অনেক পরিবার মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছে।’ একই এলাকার জয়নাল হোসেন বলেন, ‘গ্রামটি ব্যারাজের ভাটিতে হওয়ায় প্রায়ই বন্যার শিকার হই।’
আরও পড়ুন: তিস্তা গিলছে শেষ সম্বল বসতভিটা-ফসলি জমি
চর ইচলি এলাকার রমজান আলী বলেন, ‘বন্যার সময় পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। গত দুই দিন ধরে পানি বাড়ছে, অনেক কষ্টে দিন কাটছে।’ চরের বাসিন্দা আমেনা বেগম, সফিকুল ইসলাম, স্বপন মিয়ারা বলেন, ‘ভারতের ছেড়ে দেয়া পানি ও বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বাড়ছে, বাড়িঘর ডুবে গেছে, গবাদি পশু আর শিশুদের নিয়ে কষ্টে আছি।’
তিস্তা ব্যারাজের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার, যা গত কয়েকদিন ধরে ওঠানামা করছে। পানির প্রবাহ বাড়ায় তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘পানি বেড়েছে ঠিকই, তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, উজান থেকে পানি ও স্থানীয় ভারি বৃষ্টিতে পানি বাড়ছে, তবে সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
]]>