পাকিস্তানের করাচির প্রধান পশুর হাটে এ বছর গরু-ছাগলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ক্রেতাদের অভিযোগ, যে পশুর মূল্য হওয়া উচিত তিন লাখ রুপি, তার জন্য চাওয়া হচ্ছে দশ লাখ পর্যন্ত। দাম শুনেই পিছিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
যদিও পালটা প্রতিক্রিয়া বিক্রেতাদের। তাদের দাবি, পশু খাদ্যের উচ্চ মূল্য, পরিবহন ব্যয়, কর ও অন্যান্য খরচ আগের তুলনায় বহুগুণে বেড়েছে। এ কারণে গত বছরের তুলনায় বেড়েছে দাম।
আরও পড়ুন: সবার আগে ঈদের তারিখ ঘোষণা করল মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া
এক বিক্রেতা বলেন, ‘গমের দাম বেশি, কর-ট্যাক্সসহ আরও অনেক কিছু আছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবার দাম একটু বেশি। আমরা তো লোকসান দিয়ে বিক্রি করবো না।
ইসলামাবাদেও একই চিত্র। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি বলে জানান ক্রেতারা। কোনোভাবেই এই দাম বৃদ্ধি যুক্তিসংগত নয় বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত, কিন্তু মরিয়া নয়
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও জাকার্তায় বিক্রেতারা পশু নিয়ে বসে থাকলেও নেই ক্রেতার দেখা। গত বছর এই সময়ে তারা একশ'র বেশি গরু বিক্রি করলেও এবার সেই সংখ্যা অনেক কম। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও পশু রোগের ভয় বেচাকেনায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে জানান বিক্রেতারা।
এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতার সংখ্যা গত বছরের মতো না। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না। পশুদের মধ্যে রোগের উপস্থিতি নিয়ে বাসিন্দারা এখনো ভীত।
মূলস্ফিতি ও অর্থনৈতিক সংকট ত্যাগের উৎসবকে ম্লান করে তুলেছে বলে মনে করেন ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দারা।