তিন বছরেও চালু হয়নি নতুন ভবন, মেঝেতেই চলছে চিকিৎসা!

৫ দিন আগে
মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ২০২২ সালে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নির্মাণ করা হয় দুটি ভবন। তবে তিন বছর পার হলেও নতুন ভবনে স্থানান্তর হয়নি কার্যক্রম। ১০০ শয্যার বিপরীতে ৩০০ রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকায় মেঝেতেই চলছে চিকিৎসা সেবা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতির অভাবে নতুন ভবনে এখনও শুরু হয়নি কার্যক্রম।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ১০০ শয্যার অবকাঠামোতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ২৫০ শয্যার কার্যক্রম। নিয়মিত রোগী ভর্তি থাকেন ৩ শতাধিক আর বহির্বিভাগে সেবা নেন ১২০০ থেকে ১৫০০ রোগী। শয্যার তুলনায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ। প্রতিদিন এভাবেই চলে চিকিৎসা সেবা।

 

রোগী ও স্বজনরা বলছেন, সেবার মান নেই বললেই চলে। হাসপাতালের সব জায়গায় নোংরা। রোগী রাখার পরিবেশ নেই। বেশিরভাগ সময় হাসপাতালের মেঝেতেই নিতে চিকিৎসা সেবা।

 

এদিকে, রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ২০২২ সালে ৯ তলা এবং ৬ তলার দুইটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ২৫০ শয্যা, অর্ধশতাধিক কেবিন ও লিফটসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা থাকলেও পুরাতন ভবনেই চলছে চিকিৎসাসেবা। এতে কমছে না রোগীদের দুর্দশা।

 

আরও পড়ুন: রংপুর মেডিকেলে বন্ধ পিসিআর ল্যাব-আইসোলেশন সেন্টার, ঝুঁকিতে রোগীরা

 

স্থানীয়রা বলেন, স্থানান্তর না করার পেছনে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। ফলে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এটি দ্রুত চালু করতে সরকারের হস্তক্ষেপ।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতির কারণে নতুন ভবনে এখনও শুরু হয়নি চিকিৎসা কার্যক্রম। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আসিফ বলেন, যেসব জায়গায় যেসব যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র দরকার, সেগুলোর কাজ এখনও সম্পন্ন হয় নি। শুধু ভবনটির অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

 

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান বলেন, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতির সংকটের পাশাপাশি জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এ পরিস্থিতি দুই ভবনে সেবা কার্যক্রম চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।

 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুন ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন