গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ১০০ শয্যার অবকাঠামোতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ২৫০ শয্যার কার্যক্রম। নিয়মিত রোগী ভর্তি থাকেন ৩ শতাধিক আর বহির্বিভাগে সেবা নেন ১২০০ থেকে ১৫০০ রোগী। শয্যার তুলনায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ। প্রতিদিন এভাবেই চলে চিকিৎসা সেবা।
রোগী ও স্বজনরা বলছেন, সেবার মান নেই বললেই চলে। হাসপাতালের সব জায়গায় নোংরা। রোগী রাখার পরিবেশ নেই। বেশিরভাগ সময় হাসপাতালের মেঝেতেই নিতে চিকিৎসা সেবা।
এদিকে, রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ২০২২ সালে ৯ তলা এবং ৬ তলার দুইটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ২৫০ শয্যা, অর্ধশতাধিক কেবিন ও লিফটসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা থাকলেও পুরাতন ভবনেই চলছে চিকিৎসাসেবা। এতে কমছে না রোগীদের দুর্দশা।
আরও পড়ুন: রংপুর মেডিকেলে বন্ধ পিসিআর ল্যাব-আইসোলেশন সেন্টার, ঝুঁকিতে রোগীরা
স্থানীয়রা বলেন, স্থানান্তর না করার পেছনে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। ফলে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এটি দ্রুত চালু করতে সরকারের হস্তক্ষেপ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতির কারণে নতুন ভবনে এখনও শুরু হয়নি চিকিৎসা কার্যক্রম। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আসিফ বলেন, যেসব জায়গায় যেসব যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র দরকার, সেগুলোর কাজ এখনও সম্পন্ন হয় নি। শুধু ভবনটির অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান বলেন, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতির সংকটের পাশাপাশি জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এ পরিস্থিতি দুই ভবনে সেবা কার্যক্রম চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুন ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
]]>